তৃতীয় ধাপে শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে দুই উপজেলার চেয়ারম্যান ও পুরুষ-মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাদের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছে। তবে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা বেশ জমে উঠেছে।
ফলে দুই উপজেলা সরকারি দলীয় আ.লীগের মধ্যে একাধিক ভাগে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থীরা। এতে করে দলের নেতাকর্মীদের একাধিক গ্রুপিংয়ের সৃষ্টি হয়েছে দেখা দিচ্ছে বিরোধিতা।
সরেজমিন দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, নির্বাচনের প্রার্থীর মধ্যে ভোট যুদ্ধটা বেশ জমে উঠেছে। চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে চলছে আলোচনা সমালোচনা। নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে এগিয়ে রাখতে পিছিয়ে নেই কর্মী-সমর্থকরা। তারাও প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিচ্ছে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ।
এক পক্ষের সর্মথক অপর পক্ষের সর্মথককে খোচা দিয়ে দিচ্ছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য এতে করে সংঘাত ও সহিংসতা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা। দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে গণসংযোগ উঠান বৈঠক ও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা।
এদের মধ্যে শ্রীনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেমেছেন (দোয়াত কলম) নিয়ে এসএম মাহাবুব উল্লাহ কিসমত, (আনারস) নিয়ে ওয়াহিদুর রহমান জীঠু, (কাপ পিরিচ) নিয়ে মো. মশিউর রহমান মামুন। অপর দিকে সিরাজদিখান উপজেলাও ত্রিমুখী লড়াইটা জমে উঠেছে। এখানে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন (মোটরসাইকেল) মো. মঈনুল হাসান নাহিদ, (কাপ পিরিচ) আবু বক্কর সিদ্দিক, (আনারস) নিয়ে মো. আওলাদ হোসেন মৃধা, (দোয়াত কলম) আব্দুল্লাহ আল জাদিদ ইরানসহ ৫ জন প্রার্থী বিভিন্ন প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়াও শ্রীনগরে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, নারী পদে ৪ জনসহ সিরাজদিখান পুরুষ পদে ১০ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন বিভিন্ন প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
তবে যতই ভোটগ্রহণের সময় ঘনিয়ে আসছে ততই তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ভোট যুদ্ধের প্রস্তুতি জোরালো হচ্ছে। এছাড়াও পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে আগুনের ফুলকি ছড়াচ্ছে প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। দিচ্ছেন উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। এছাড়াও ২ উপজেলার পুরুষ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও তাদের প্রতীক নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
তবে বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতাকর্মীরা নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ প্রকাশ্যে আবার কেউ কেউ গোপনে সর্মথন ও প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছে নিজের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে।
তবে ভোটাররা এমন ব্যক্তিদের নির্বাচিত করতে চান যারা মাদক ও দুর্নীতি নির্মূল, কৃষিজমি, খাল ডোবা নালা রক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কথায় নয় কাজে প্রামাণ করবে এমন ব্যক্তিদের।
তবে উৎসবমূখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে দাবি করে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষে প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমনটা জানালেন রির্টানিং অফিসার মো. বশির আহমেদ।
টিএইচ