একটি ফুট ব্রিজের অভাবে কৃষকের দুর্ভোগ থামছে না। যোগাযোগ খাতকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয় এবং কৃষি থেকে সর্বাধিক জিডিপি আহরণ হলেও কৃষিপণ্য পরিবহনের সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা সুবিধা বঞ্চিত-অবহেলিত।
উপজেলার নেউটা, সেননগর ও আশপাশের গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত কৃষকরা বিদ্বেশ্বরীঘাটে ফুট ব্রিজ না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। আমজনতা, অসহায় কৃষকরা জনস্বার্থে ক্ষুদ্র একটি ফুট ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন।
নেউটা গ্রামের কৃষক শাহাদাত হোসেন জানান, খরা মৌসুমে ঝুঁকিমুক্ত হলেও বর্ষাকালে তারুণ্যে ভরা নদী পারাপার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। স্থানীয় কৃষকদের অর্থায়নে ও সহযোগিতায় সম্মিলিতভাবে ১নং ধামইরহাট ইউনিয়নের অধীন ওই স্থানটিতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করলেও প্রতিবছর এটি মেরামতের জন্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়।
তাও সেটি দীর্ঘস্থায়ী হয় না, বর্ষাকালে স্রোতের দাপটে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যায় সাঁকো। বর্ষাকালে পারাপারের সময় বানের স্রোতে কখনও কখনও কৃষিপণ্য ভেসে যায়। ফলে ঝুঁকি আর দুর্ভোগ মিলে একাকার হয়ে যায়। নদীর ওপারে হাল চাষের জন্য পাওয়ার ট্রলি প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার ঘুরিয়ে নদীর অপর প্রান্তে আনতে হয়।
তাতে ব্যয় বৃদ্ধি এবং সময়ের অপচয় দুটোই হয়। ফলে কৃষি পণ্য উৎপাদনে ব্যয় মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিলেই জনস্বার্থে একটি ফুট ব্রিজ নির্মাণ করে জনদুর্ভোগ দূর করা সম্ভব বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম বদিউল আলম জানান, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ে আলোচনা করে বিদ্বেশ্বরীঘাটে ফুট ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
টিএইচ