কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ও গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে অল্প সময়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসা মহেশখালীর মাতারবাড়ি যাতায়াতের একমাত্র সড়ক পথ মাতারবাড়ী চালিয়াতলী সংযোগ সড়কের ভোগান্তি হচ্ছে নিত্য দিনের দুর্ভোগ।
মহেশখালী মাতারবাড়িতে সরকারের মেগা প্রকল্প, কয়লাবিদ্যুৎ গভীর সমুদ্র বন্দরসহ অন্য প্রজেক্টের কাজ প্রায় শেষ হলেও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের কাজ শেষ হয়নি মাতারবাড়ির প্রধান সংযোগ সড়কের। ফলে সীমাহীন ভোগান্তিতে দিন পার করছে মাতারবাড়ী-ধলঘাটা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষসহ বন্দর ও প্রকল্পে কাজ হাজার হাজার শ্রমিক। পুরো সড়ক জুড়ে অসংখ্য খানাখন্দে ভরা সড়কে যানচলাচল অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
তবুও বিকল্প উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করে আসছে এমনটাই জানান, ভুক্তভোগী মানুষগুলো। ইতোমধ্যে আগামী ১১ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতারবাড়ীতে আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত হলে নড়েচড়ে বসেন কর্তৃপক্ষ।
এতোদিনের দায়সারাভাবে হওয়া ধীরগতির কাজে বাড়ছে গতি। বিগত তিন, চারদিন ধরে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। ঘুম নেই ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারের। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সরজমিন গিয়ে জানা যায়, ৫ কিলোমিটার সড়কের ৪৫ কোটি টাকার কাজে গত এক সাপ্তাহ পূর্বেও দৈনিক সাত-আট শ্রমিক কাজ করতো।
ইতোপূর্বেই সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগমনের কারণে লণ্ডভণ্ড সড়কের একইভাবে কাজ করছিলো। পরে যা অল্প দিনেই ভেঙে যায়। ফলে এখনো অধিকাংশ কাজ অবশিষ্ট রয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দায়িত্বশীল।
স্থানীয় এমপি আশেক উল্লাহ রফিক এমপি কাজ পরিদর্শন করে দ্রুত কাজ শেষ করে এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তা বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। সড়কের কাজ করার দায়িত্ব নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আসাদ এন্টারপ্রাইজ।
জানা যায়, মাতারবাড়ি প্রধান সড়ক সংস্কারের টেন্ডার হওয়ার অনেকদিন হলেও সঠিক সময়ে কাজ করেনি টিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বেশ কয়েকবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও ধীরগতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
মাতারবাড়ী সড়কে ভোগান্তি ও ভাড়া নৈরাজ্য নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীকি মার্মা জানান, বিশেষ করে সিএনজি ড্রাইভাররা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। পরিবহন সমিতির দায়িত্বশীলদের ডেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার জানান, মহেশখালীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসা উপলক্ষ্য তড়িঘড়ি করে সংস্কার করা হচ্ছে। ১০ নভেম্বরের আগেই সড়কটি চলাচলে উপযোগী করতে এমপি আশেক উল্লাহ রফিকের নির্দেশ রয়েছে।
টিএইচ