একবার নয়, দুবার ঘরবাড়ি সড়িয়েছি, আবার ভাঙতে হচ্ছে, একটি ঘর সড়িয়ে নিয়েছি, ভাঙনে পাকাবাড়ি কাঁচা সবই শেষ, মাথা গোঁজার শেষ ঠাঁই বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হলে পথে বসবো পরিবার নিয়ে। চোখের পলকেই সাজানো গোছানো সংসার শেষ। কবে রক্ষা পাবো এ ভাঙন থেকে।
তিস্তা নদী ছিলো কোথায়? এসেছে কোথায়? যেন দেখার কেউ নেই বলে মন্তব্য করেন আব্দুল খালেক। খালেক বলেন, ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে বাপদাদার বসতভিটা। তিস্তা নদী এখন আমার আঙিনায়। আমাদের বাড়ির ভাঙন ঠেকাতে মাত্র তিনশ জিওব্যাগ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে শুনেছি, মাত্র তিনশ জিওব্যাগে কি ভাঙন ঠেকাবে।
পাশেই বসবাসকারী চান্দ মিয়া বলেন, বাবা ও বড় ভাইয়ের বসতভিটা এখন নদীতে, আমার বসতের একটি ঘরে আমরা সবাই থাকি, পাঁচ ভাইয়ের মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই, থাকবো কোথায় এ ভাবনার শেষ নেই, বাঁধের রাস্তায়ও ঘর উঠানোর জায়গায় নেই।
পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে আছি, এবার নিয়ে তিনবার ভাঙল বড় ভাই ছকির উদ্দিনের বসতভিটা। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) মোন্নাফের বসতভিটার সামনে ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে তিনশ জিওব্যাগ ফেলানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নের কিছু শ্রমিক।
কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ জনবসতি এলাকায় ভাঙনরোধে জরুরিভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলানো হচ্ছে।
টিএইচ