কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানাধীন গুণধর এলাকার খয়রাতের মোড়ে একটি গ্যারেজ থেকে অটোরিক্সার কিছু মেরামত কাজ শেষে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় শরীফ (২৪)। করিমগঞ্জ থানাধীন গুণধর ইউনিয়নের দড়ি গাংগাটিয়া গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে শরীফ।
নিখোঁজের পরের দিন ২২ মে সকালে গুণধর এলাকার নলীন ব্রিজের নীচে মাথার উপর পাথর-সিমেন্টের মোল্ডের টুকরো দিয়ে মাথায় চাপা দেয়া শরীফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দুষ্কৃতকারীরা শরীফকে নির্মমভাবে হত্যা করে অটোরিক্সাটি ছিনিয়ে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের সার্বিক তদারকি ও নির্দেশনায় ঘটনার পরপরই রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু হয়।
ভিকটিমের পিতা মতিউর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে করিমগঞ্জ থানায় মামলা রুজু করেন যার মামলা নং ১৯।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার হাফিজুর রহমান গত মঙ্গলবার রাতে করিমগঞ্জ থানার এক চৌকস টিম কিশোরগঞ্জ গাজীপুর ও ঢাকার নানা জায়গায় অভিযান পরিচালনা করার পর গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন পাগাড় এলাকার ফকির মার্কেট হতে ঘটনার সাথে জড়িত সেলিমকে (৩৯) গ্রেপ্তার করে।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই এলাকার একটি গ্যারেজ হতে ছিনতাইকৃত অটোরিক্সাটি উদ্ধ করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে। বুধবার (২৪ মে) সেলিমকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
টিএইচ