শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

কলমাকান্দায় ফসলি জমি ফেটে চৌচির দুশ্চিন্তায় কৃষক

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

কলমাকান্দায় ফসলি জমি ফেটে চৌচির দুশ্চিন্তায় কৃষক

টানা ২ মাস বৃষ্টি না থাকায় নেত্রকোনার কলমাকান্দা  উপজেলা সদরের  নদী নালা খাল বিল পুকুর ডোবাসহ শুকিয়ে গেছে। ফলে বোরো আবাদি ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন ঘাটতির আশংঙ্কা।

আবাদি জমির সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে এবং নদী-নালার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় পানির স্তরও নিচে নেমে গেছে। ফলে এ উপজেলার ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইরিব্লকের টিউবওয়েলের পানি না উঠায় সংশ্লিষ্ট সব আবাদি জমির সেচ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি  অনাবৃষ্টিতে মাটির রস কমে যাওয়ায় আমের মুকুল ঝরে পড়ছে।

এ ছাড়াও বোরো ধানের বীজতলাসহ অন্য ফসল ও সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কৃষকেরা পড়ছে চরম দুর্ভোগে। বিপাকে পরেছেন এই উপজেলা কৃষকরা। এছাড়াও নদী নালা, খাল বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ছোট ছোট নদীবেস্টিত এলাকা শত শত জেলে ও মাঝিরাও  কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে  সদর ইউনিয়নের বাসাউড়া গ্রামের আদর্শ কৃষক প্রদীপ সাহা ও সবিনয় রায় বলেন, নদীর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া বাড়ির পাশে খাল পুকুর সব শুকিয়ে  যাওয়ায়  মহাবিপদে আছি ভাই, একটু বৃষ্টি যদি হতো এই জমিগুলো প্রাণ ফিরে পেতো।

কৃষক আলাল মিয়া জানান, প্রতি বছর ন্যায় ফসলের ক্ষেতে টিউবওয়েল স্থাপন করে পানি তুলে সেচ কাজে ব্যবহার করতে পারছি না। কারণ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে অনেক সমস্যায় পড়ছি আমরা। এ থেকে পরিত্রাণের কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছি না। 

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ফারুক সাহেব বলেন, আবাদি জমি সংলগ্ন এলাকা এখানে পানির সাথে স্থানীয় খাল বিল পুকুর ডোবার পানির স্তরের কম বেশীর একটি মিল আছে। নদীর পানি কমে যাওয়ায় সেচ প্রকল্পেও ব্যাহত হচ্ছে।

টিএইচ