সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

কলাপাড়ায় পায়রা বন্দরের রামনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেসিং হস্তান্তর

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কলাপাড়ায় পায়রা বন্দরের রামনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেসিং হস্তান্তর

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রাবন্দর ‘রামনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেসিং আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত রোববার পায়রাবন্দর সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে চ্যনেলটির হস্তান্তর করা হয়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী-৪ আসনের এমপি মো. মুহিববুর রহমান, পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, স্কিম পরিচালক রাজীব ত্রিপুরা, প্রকল্প পরিচালক জ্যা, জ্যান মুয়েনসসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্যরা। বেলজিয়ামভিত্তিক জ্যান ডি নুল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ কাজটি সম্পন্ন করেন।

অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী-৪ আসনের এমপি মো. মুহিববুর রহমান বলেন, ক্যাপিটাল ড্রেসিং শেষ হবার ফলে পায়রা বন্দর একটি শ্রেষ্ঠ বন্দরে পরিনত হয়েছে। এ বন্দরের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটবে।

পায়রা বন্দর কর্তপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন’ পায়রা বন্দর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম স্মার্ট বন্দর। এ বন্দর এখন আর সম্ভাবনা নয়, বাস্তবতা। এটি প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি আধুনিক মাস্টার প্লানের আওতায় এই বন্দরটি ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। 

ইতোমধ্যে ৬.৫০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আগামীতে বন্দরে প্রথম টার্মিনালের সাথে যুক্ত হচ্ছে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল। কন্টেইনার টার্মিনাল -১, কন্টেইনার টার্মিনাল -২, লিকুইড বাল্ক টার্মিনাল, কোল টার্মিনাল, এলএনজি টার্মিনাল। ইতোমধ্যে বন্দরকে ঘিরে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। 

এখানে গড়ে উঠেছে, পায়রা শিল্প নগরী, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, শিল্প ব্রেকিং-ইন্ডাস্ট্রি, ডক ইয়ার্ড, বিমান বন্দর। খুব শিগগিরই পায়রা বন্দর হয়ে উঠবে দক্ষিণ এশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র।

প্রজেক্ট পরিচালক জ্যা, জ্যান মুয়েনস বলেন, বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর  পায়রার ক্যাপিটাল ও মেইনটেনেন্স ড্রেজিংয়ের কাজে সরাসরি যুক্ত হতে পারা  জ্যান,ডি,নুল এর জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। সাফল্যজনকভাবে খনন শেষ করে আজ খুবই আনন্দিত। 

এ ড্রেজিং কার্যক্রমের ফলে রামনাবাদ চ্যানেলটি ১০.৫ মিটার গভীরতায় উন্নীত হয়েছে। এর ফলে ২২৫ মিটার দের্ঘ্য এবং ৩২ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট প্যনাম্যার্ক আকৃতির বড় জাহাজ ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার মে.টন পণ্য নিয়ে সরসরি বন্দরে ভিড়তে পারলে ওই প্রেসব্রিফিং এ উল্লেখ করা হয়।

টিএইচ