পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চলছে বৈশাখী মেলা। এ মেলাকে কেন্দ্র করে বাধ্যতামূলক লাকি কুপন বিক্রির প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। এ থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষকসহ জনপ্রতিনিরা।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের নতুন মাঠে ৭ ব্যাপী বৈশাখী মেলার প্রথম দিন থেকেই এ লাকি কুপনের বাণিজ্য শুরু হয়। কুপন কেনায় বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে উপজেলাবাসী। চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে।
এদিকে, মেলার খরচ পোষাতে ৫০ হাজার লাকি কুপন ছাঁপানো হয়। প্রতিটি কুপনের মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ মেলা আরো ২ দিন বাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন এমনটি জানিয়েছেন একটি সূত্র।
জানা যায়, এবারের বৈশাখী মেলায় একাধিক স্টল ফাঁকা রয়েছে। অতিরিক্ত স্টলের মূল্য নির্ধারণ করায় এমনটি হয়েছে বলে একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান। তবে, গরমের তীব্রতা থাকায় সরবতের দোকানগুলো ছিলো চোখে পড়ার মতো। কিন্তু সে সকল দোকান থেকেও প্রতিদিন আদায় করা হয়েছে উৎকোচ। এ উৎকোচ থেকে রেহাই পায়নি ছোট ছোট পান সিগারেটের দোকানীরাও। এদিকে, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত প্রকাশ্যে র্যাফেল ড্রয়ের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলার সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্যদের কাছে চলে গেছে লাকি কুপনের বহি। এসকল কুপন ক্রয় করতে স্থানীয় সাধারণের উপর বাড়তি চাপ পরছে বলে জানান অনেকেই।
মেলায় আগত একাধিক দর্শনার্থী জানান, এবারের মেলার আয়োজনটি খুব ভালো ছিলো। তবে, উল্লেখ্যযোগ্য শিল্পী না থাকায় এবং সেই সঙ্গে অনেকগুলো স্টল ফাঁকা থাকায় আয়োজনটি কিছুটা হলেও মলিন হয়েছে বলে তারা মতামত ব্যক্ত করেন।
এদিকে মেলার পান সিগারেটের দোকানী শেফালী বেগম বলেন, মেলা উপলক্ষে বাড়তি কিছু আয়ের জন্য পান সিগারেটের দোকান নিয়ে বসেছিলাম। দর্শনার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকায় আশানুরুপ বিক্রি হচ্ছে না। তদুপরি, মেলায় দোকান নিয়ে বসায় কমিটিকে ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কি পরিমাণ লাকি কুপন করা হয়েছে তা এলওর সঙ্গে কথা বললে জানতে পারবেন।
টিএইচ