প্রবাহমান দাবদাহে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত দুইদিনে গড়ে ২৫ জন করে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। বয়স্ক ও শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। অন্যদিকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের একটি ওয়ার্ড পুরাটাই ডায়রিয়া ওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়েছে।
রোগী ভর্তি আছেন ৬২ জন। আবার কেউ কেউ চিকিৎসাপত্র নিয়ে বাড়িতে রয়েছেন। সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডাক্তারের চেম্বারে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র গরম এবং খাবারে অনিয়মের কারণে এ সমস্যা হতে পারে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই কলারোয়ার উপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টির দেখা নেই। এ মৌসুমে কলারোয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি হয়েছে, অসহনীয় গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ফুড পয়জনিংজনিত কারণে মূলত ডায়রিয়া দেখা দেয়।
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শামিমা জানান, ঈদের পর থেকে এ পর্যন্ত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২য় তলার দুটি ওয়ার্ডের সব শয্যায় রোগী ভর্তি আছে, এমনকি ফ্লোরেও রোগী রয়েছে।
বুধবার (১০ মে) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়ার জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হয়েছে। দোতলার দুইটি ওয়ার্ডে অন্য রোগীর পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ওয়ার্ডে বেড খালি না থাকলেও রোগীকে ফ্লোরেও তীব্র গরমের মধ্যে চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা রোগীদেরকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তীব্র গরম ও রোজার পর হাই প্রোটিন খাওয়ার জন্য ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে পারে।
তাছাড়া প্রচন্ড গরমে রান্না করা খাবার দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য তিনি সকলকে খোলা, পঁচা, বাসি ও ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবার পরিহার এবং প্রচুর পানি পান ও খাবার গ্রহণে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।
টিএইচ