যশোরের মেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে এসেছিলো প্রেমিক বিয়ে করবে এই প্রতিশ্রুতি পেয়ে। বিয়ে না করে টাকা পয়সা রেখে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে তাড়িয়ে দেয় প্রেমিক।
১৯ জুন রাতে বিনাউটি ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলম খান বেদনের মুঠোফোনে সাহায্য প্রার্থনা করলে তিনি একজন গ্রামপুলিশের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করেন।
পরদিন চেয়ারম্যান অফিসে এঘটনা নিয়ে ওই প্রেমিকা ও প্রেমিক রাব্বীর পরিবারের সংগে কথা বলেন। কন্যার দেয়া ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত পৌঁছে দেয় চেয়ারম্যানের লোকেরা। তারা তাকে ঢাকার ট্রেনে ওঠিয়ে দেয়।
পরে প্রেমিকা যশোরে বাড়িতে গিয়ে আবার ফিরে আসে কসবায়। স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীদের সহায়তায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে কসবা থানার ওসি রাজু আহম্মেদ গত রোববার কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রাম থেকে রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, গত দুবছর যাবত সৌদি আরবে সৈয়দাবাদ গ্রামের মজিবুর রহমানের পুত্র সৌদিপ্রবাসী রাব্বীর সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। বিয়ে করবে এমন কথা বলে এবং বাড়ির কাজের দেনা পরিশোধ করতে হবে বলে প্রেমিকার কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ ৪৪ হাজার নেয়।
গত ১৯ জুন প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়িতে চলে আসে রাব্বির কথামতো। এদিন সন্ধায় একটি কক্ষে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে রাব্বি। বিষয়টি তার মাকে জানালে এবং বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাকে ওই রাতেই বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
বিনাউটি ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলম খান বেদন বলেন- ওই কন্যার এলাকার চেয়ারম্যানের নিকট আমি ফোন করলে বিয়ে পরাতে বলেন। আমার পক্ষে বিয়ে পড়ানো সম্ভব হয়নি তাই কন্যার দেয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করে আমি তাকে চলে যেতে বলি।
কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ রাজু আহম্মেদ বলেন, আমরা আইন অনুযায়ী বিষয়টির ব্যবস্থা নিচ্ছি। ধর্ষিতা কন্যার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
টিএইচ