কসবা উপজেলায় চলতি বছরে সরিষার ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে। চারদিকে হলুদের সমারোহ সরিষার ক্ষেত যেন প্রাকৃতিক এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশাবাদী চাষীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ মোট ২২৪০ কৃষককে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। গত বছর এই উপজেলায় সরিষার চাষাবাদ হয়েছে ৩৫৯ হেক্টর জমিতে। চলতি বছরে ৩৪০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর ১৯ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ কম হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় সরিষা বিক্রি করে ভাল লাভ হবে বলে আশা কৃষকদের।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, সরিষার চাষে লাভ বেশি হওয়া কৃষকদের মধ্যে চাষাবাদ আগ্রহ বাড়ছে। জমি থেকে আমন ধান কেটে জমি ফেলে না রেখে আগাম লাভজনক ফসল হিসেবে চাষে ঝুকছেন কৃষকরা। উপজেলার নয়নপুর থেকে কসবা রুটে রাস্তার দু'পাশে হলুদের সমারোহ।
কৃষক আশরাফ হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের প্রনোদনার সহায়তা পেয়ে সরিষার চাষাবাদ করছি। প্রতি বছর তিনি সরিষা আবাদ করে লাভবান হন। এ বছরও তিনি এক একর জমিতে বাড়ি জাতের সরিষ চাষাবাদ করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ হাজেরা বেগম বলেন, তৈলজাত ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যের সার সরবরাহ এবং প্রকল্পের মাধ্যমে সরিষার প্রদর্শনী বাস্তবায়নের ফলে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাশাপাশি কসবা কৃষি অফিস সব সময় সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়ায় এ বছর সরিষা বাম্পার ফলন হয়েছে। সরিষার চাষে কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর সরিষা বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করি ভালো ফলন পেয়ে বাজারে ভালো দাম পেলে কৃষকরা লাভবান হবেন।
টিএইচ
