কসবায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে প্রধান আসামি করে গত রোববার রাতে ১২৭ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও নাশকতা ধারায় মামলা করেছে ছাত্রদল নেতা সিরাজুল হক ইমু। মামলায় আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সারা কসবায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
থানা ও মামলা সূত্রে জানা যায় গত ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কুটি চৌমুহনী চত্বরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আ.লীগের ক্যাডার বাহিনী তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-ছাত্রীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। সন্ত্রাসী কায়দায় কিছু ছাত্রীর চুলের মুঠোয় ধরে টানা হেঁচড়া করে এবং লাঠি, রড দ্বারা বেদম প্রহার করে তাদের রক্তাক্ত জখম করে অভিযোগ করে।
প্রাক্তন এমপি মোহাম্মদ শাহ আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান স্বপন, কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছায়েদুর রহমান মানিকসহ ২০/২৫ জনের নেতৃত্বে ছাত্র-ছাত্রীদের পিটিয়ে ৫টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলে।
এসব আসামিরা বাদী সাদ্দাম হোসেনকে গলায় গামছা পিছিয়ে মাটিতে ফেলে কিল, ঘুসি, লাথি মেরে বুকের উপর চেপে বসে গুরুতর জখম করে। আসামিরা এলোপাথাড়ি পিস্তলের গুলিতে বহু মানুষকে জখম করে।
কসবা থানার ওসি আব্দুল কাদের এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ১২৭ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। কসবা থানায় মামলা নং ২১। তিনি বলেন, আমরা আসামি গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।
মামলার বাদী সিরাজুল হক ইমু বলেন, মূলত ফ্যাসিবাদী আ.লীগ সরকারের লোকজন কসবার মাটিতে যাতে কোনো সভা-সমাবেশ করতে না পারে আমরা এজন্যই এতোদিন পর মামলা করেছি। তিনি আরও বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদী আ.লীগ, যুবলীগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে কসবার মাটিতে পা রাখতে দিবো না।
টিএইচ