গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রানীগঞ্জে মৌসুমী লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। লিচুর দামেও হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এ অঞ্চলের আবহাওয়া লিচুর জন্য উপযোগী হওয়ায় এখানে প্রচুর পরিমাণে লিচুর বাগান গড়ে উঠেছে।
এখানকার লিচু রসালো ও স্বাদ বেশি হওয়ায় এর সুনাম রয়েছে সারা দেশজুড়ে। লিচু চাষ করে কাপাসিয়া উপজেলার প্রান্তিক চাষীদের অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। এতে অনেকের লিচু চাষের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকার মিষ্টি ও রসালো স্বাদের বিভিন্ন জাতের লিচুর সমাহার রয়েছে বাগানগুলোতে।
এসব বাগানে বোম্বাই, কালিপুরী, চায়না-থ্রি এবং দেশি লিচুর সমারোহে ছেয়ে গেছে বাগানগুলো। উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজারসহ ফুলবারিয়া, নাশেরা, নাজার, রাওনাট গ্রামের বিভিন্ন লিচুবাগানে গিয়ে দেখা গেছে বাগান থেকে সংগ্রহ করা লিচু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাতে প্রস্তুত করছে চাষীরা। প্রতিদিন এই এলাকা থেকে ৪-৫ টি ট্রাকভর্তি লিচু দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে বলে ও চাষীরা জানান।
লিচু বাগানের মালিক নজরুল ও নাজমুল আলালসহ একাধিক চাষীরা জানান, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফলের চাষ করে ভালোই ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে তাদের বাগানে লিচুর ব্যাপক ফলন হওয়ায় এবং বাজারমূল্য ভালো পাওয়ায় ভীষণ খুশি।
তারা বলেন, স্থানীয় বাজারে প্রতি ১শ বোম্বাই, কালিপুরী লিচুর দাম ২শ থেকে ৩শ টাকা, চায়না-থ্রি ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা এবং দেশি লিচুর দাম ২০০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসে লিচু সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
চলতি বছর অন্য বছরের তুলনায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় অনেক লিচু গাছেই নস্ট হয়ে যায় এবং অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে লিচুর আকার খুব বেশী একটা বড় হয়নি। রানীগঞ্জে বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা এই মৌসুমী লিচুসহ বিভিন্ন ফল চাষ করে থাকে। ফলে মৌসুমী ফলের চাষাবাদ করেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার বসাক জানান, এই অঞ্চলের কৃষকেরা অনেক পরিশ্রমী। ভালো ফলন পাওয়ার জন্য তারা অনেক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমিও সবসময় চেষ্টা করি, তাদের কৃষিকাজে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য। সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিভিন্ন চাষীদের মৌসুমী ফল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে চাষীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নানাবিধ নিয়ম কানুন সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে।
টিএইচ