বর্ষায় পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ কাপ্তাই হ্রদ। নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হলেও সাময়িক ব্যাঘাত ঘটছে মাইনি-লংগদু-রাঙ্গামাটি পথে লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোট, স্পিডবোট ও জেলেদের নৌকা চলাচলে। কিছুদিনের টানা বর্ষণের ফলে উজানের পাহাড়ি ঢলে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানার জট বেঁধেছে।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) কাপ্তাই হ্রদের লংগদু ও মাইনি নৌঘাটে গিয়ে দেখা যায়, কচুরিপানায় ছেয়ে গেছে হ্রদের বিশাল অংশ। ফলে মাইনি-লংগদুতে নৌ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।
ইঞ্জিনচালিত বোটগুলো কচুরিপানার বিশাল জটে আটকা পড়ে বোটের পাখা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে নৌপথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। স্থানীয় বোট চালক শহিদুল জানান, ‘কচুরিপানার বিশাল জট সৃষ্টি হওয়ায় নৌযান চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে নদী পার হয়ে ক্লাসে যেতে পারছে না। এ ছাড়াও দৈনন্দিন কাজে বাজারগামী ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীরা এর ভুগান্তি পোহাচ্ছে। কচুরিপানার জটলা বেশি থাকার কারণে অতিরিক্ত তেলও খরচ হচ্ছে।
লঞ্চ স্টাফ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, বর্ষায় পানি বাড়ার ফলে চারদিক থেকে ছুটে আস কচুরিপানা জট হয়েছে কাপ্তাই হ্রদে। হ্রদের মাইনি-লংগদু ও ফোরেরমুখ এলাকায় কচুরিপানা জট সৃষ্টি করেছে। এতে নৌ যোগাযোগ বিঘ্ন ঘটছে। স্বাভাবিক ভাবে নৌ-চলাচল করতে না পাড়ায় দুর্ভোগে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
নৌকা চালক রুপম জল দাশ বলেন, বর্তমানে কচুরিপানার জটলাতে পড়ে নৌকার যাত্রীদের গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে ৫ মিনিটের জায়গায় আধ ঘণ্ডা সময় লেগে যাচ্ছে। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে আমাদের মতো ছোট নৌকা চালকদের আয়-রোজগার কমে গেছে।
এদিকে মাইনি লঞ্চঘাটে অপেক্ষমান কয়েকজন যাত্রী জানান, কচুরিপানার জট লাগার ফলে ঠিকভাবে তারা চলাফেরা করতে পারছেন না। যতক্ষণ নৌ চলাচল স্বাভাবিক না হবে ততক্ষণ এই দুর্ভোগ পোহাতে হবে তাদের।
এ বিষয়ে মাইনিমুখ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল বলেন, ‘কচুরিপানার জটের কারণে স্থানীয়দের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করব। কচুরিপানার জট অপসারণের জন্য যেন দ্রুত সময়ে এর ব্যবস্থা নিয়ে জনদুর্ভোগ দূর করে।
টিএইচ