গত শনিবার রাতভর পল্লীবিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে নড়াইলের কালিয়ার গ্রামগুলোর মানুষ নাজেহাল অবস্থায় রাত কাটালেও কালিয়া পৌরসভার বাসিন্দারা স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সেবা পেয়েছেন বলে জানা গেছে। যশোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ২ এর কালিয়া আঞ্চলিক অফিসের ডিজিএম মমিনুর রহমান বিশ্বাস শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত কালিয়া পৌরসভায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
পল্লী বিদ্যুতের কালিয়া আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৬৭ হাজার নিয়মিত বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে পৌরসভায় গ্রাহকের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৫ হাজার। উপজেলার গ্রামগুলোকে ৬টি অঞ্চলে বিভক্ত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুতের সরবরাহ কম থাকার কারণে উপজেলার গ্রামগুলোতে লোডশেডিং শুরু হয়। যা রাতভর ফিডারভিত্তিক চলতে থাকে। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্থ হওয়াসহ নাজেহাল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের মারাত্মক দুর্ভোগের শিকারে পরিনত হতে হয়েছে। কিন্তু গ্রামের মানুষ যখন এক রাতে ৫/৬ বার লোডশেডিংয়ে নাজেহাল তখন কালিয়া পৌরসভার বাসিন্দারা ছিলেন লোডশেডিং মুক্ত বলে জানা গেছে।
পৌর শহরের রামনগরের বাসিন্দা তরুন কুমার শিকদার ও বড়কালিয়ার বাসিন্দা উৎপল কুমার ঘোষ বলেছেন, শনিবার রাতে পৌরসভায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল বলে দাবি করেছেন।
কলাবাড়িয়া গ্রামের গ্রাহক মো. রাসেল শেখ অভিযোগ করে বলেন, নিজেদের দোহাই দিয়ে গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছেন পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তারা। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত চলা লোডশেডিং তাদেরকে নাজেহাল করলেও তা ডিজিএম এর হূদয় স্পর্শ করেনি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
যশোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ২ এর কালিয়া আঞ্চলিক অফিসের ডিজিএম মো. মমিনুর রহমান বিশ্বাস বলেন, যেহেতু উপজেলা সদরেই পৌরসভা অবস্থিত। এখানে থানা ও হাসপাতালসহ অফিস আদালত থাকায় লোডশেডিং দেয়া হয়নি।
যশোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ২ এর জিএম শরীফ লেহাজ উদ্দিন বলেছেন, বিষয়টিতে তিনি খোঁজ নেবেন।
টিএইচ