শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

কিশোরগঞ্জে অটোরিকশায় যানজটে অতিষ্ঠ শহরবাসী

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জে অটোরিকশায় যানজটে অতিষ্ঠ শহরবাসী

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কিশোরগঞ্জ শহরবাসী। সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এসব অটোরিকশা গ্যারেজ ও কারখানা। 

গত ছয় মাসে মিশুক ও ইজিবাইকের সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে হেঁটে রাস্তা পার হওয়াও দায় হয়ে পড়েছে। নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বর্তমানে তিন চাকার এসব যান শহরবাসীর কাছে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরে কতগুলো মিশুক ও ইজিবাইক রয়েছে, তার কোনো হিসাব পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। তবে কিশোরগঞ্জ পৌরসভা থেকে মিশুকের কোনো লাইসেন্স দেয়া হয়নি। জেলা ট্রাফিক পুলিশ ও পৌর কর্তৃপক্ষের মতে, শহর ও শহরতলিতে মিশুক ও ইজিবাইকের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর বাইরে তিন চাকার অন্য যান ও রিকশাও রয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া-আসার সময় রাস্তা পার হতে পারে না। মিশুক ও ইজিবাইকের আধিক্যে আটকে থাকতে হয় তাদের। শহরের পুরাতন কোর্ট রোডের বাসিন্দা আবু তাহের মিঞা বলেন, ইজিবাইক ও মিশুক নামে যানগুলি অবাধে চলছে। 

মিশুক ও ইজিবাইক শহরবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট একটা রাস্তাই পার হওয়া যায় না। শহরের প্রধান সড়ক পুরানথানা, একরামপুর, স্টেশন রোড, কালীবাড়ী মোড় ও ঈশাখা সড়কে দীর্ঘ সময় যানজট লেগে থাকে।

অপরদিকে শত শত অটোরিকশার কারণে শহরের যত্রতত্র পার্কিয়ের কারণে ব্যস্ততম এ সড়ক দিয়ে হাঁটাচলা করাও দায় হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসীর। শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান পাবেল জানান, এসব অটোরিকশা চালকের কোনো লাইসেন্স নেই। 

আর যতদুর জানি এদের জেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ বা পৌর কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স দেয়নি। অটোরিকশা চলতে কোনো বাধা না থাকায় অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুরাও এখন অটোরিকশা চালাচ্ছে। শহরে সড়কগুলোতে শত শত অটোরিকশা। এসব অটোরিকশা সড়কে সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে অহরহ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ সময় তিনি দাবি করেন, একটি মহল রিকশা সমিতি বা অটোরিকশা সমিতির নামে টাকা উত্তোলন করে আসছে।

কিশোরগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট সানিউল হক জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার হাওরে ধান কাটার পর বর্ষার পানিতে পূর্ণ হওয়ায় অনেকে কর্ম হারিয়ে উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে অটোরিক্সা, মিশুক, ইজিবাইককে বেছে নিয়েছে। এসব অটোরিক্সা শহর এলাকায়  নতুনভাবে যুক্ত হওয়াতে যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। 

এছাড়া একটা জেলা শহরের এরকম সরু রাস্তা যানজটের অন্যতম কারণ। আমাদের জেলা ট্রাফিকের যে পরিমাণ পুলিশ সদস্য থাকা দরকার সে অনুপাতে না থাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত পেতে হচ্ছে। এসব প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আমরা জেলা ট্রাফিক পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে জনগণকে তার আবাসে নিরাপদে পৌঁছানোর কাজে সদা সচেষ্ট আছি।

টিএইচ