কিশোরগঞ্জে যৌথ অভিযানে মাদ্রাসাছাত্রী অপহরণ মামলার প্রধান আসামি ইসমাঈলকে মৌলভীবাজার থেকে আটক করেছে র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা।
র্যাব সূত্র জানায়, র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গী, সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬মে ভিকটিম মাদ্রাসাছাত্রী (১৩) তার মাদ্রাসার ক্লাস শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানাধীন লতিবাবাদ ইউনিয়স্থ বড়ভাগ সাকিনস্থ এলাকায় আসলে বিবাদী মো. ইসমাঈল (২১) ও তাহার সহযোগী মো. রনি মিয়াসহ (২১) অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনের সহায়তায় ভিকটিমকে (১৩) অসৎ উদ্দেশ্যে একটি অজ্ঞাত অটোগাড়িযোগে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে আটক রাখে।
পরবর্তীতে এ ঘটনা সংক্রান্তে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। যা কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার মামলা নং-৪১/২৫২। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং ওই আসামি ভিকটিমকে নিয়ে আত্নগোপনে চলে যায়।
তাকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে এবং দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর র্যাব-১৪ ও র্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে গত বুধবার মৌলভীবাজার জেলার সদর থানাধীন শমসের নগর এলাকা হতে মো. ইসমাঈলকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
এ অপহরণ মামলার প্রধান আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
টিএইচ