কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যদুবয়রা উত্তর চাঁদপুরে ডাকুয়া নদীর পাড়ে আমিরুল ইসলাম নান্নুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এলাকার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানসহ দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরন করেছে।
এছাড়া আরো ৬ জনকে সন্দেহের তালিকায় এনে ডিবি পুলিশের হেফজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে নান্নু হত্যার পর থেকে এলাকা নারী-পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। চারিদিকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। প্রতিপক্ষরা আসামিপক্ষের গোবাদী পশুসহ ফসল লুট করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত আমিরুল ইসলাম নান্নুর বড় ভাই জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় যদুবয়রা ইউপি চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪/৫জন অজ্ঞাত আসামি করে হত্যামামলা করেছেন গত বৃহস্পতিবার।
ওই রাতেই যদুবয়রা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানকে জয়বাংলা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সঙ্গে আরো ৬ জনকে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসা অব্যাহত রেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হবে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, নান্নু হত্যার ঘটনায় কুমারখালী থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে গ্রেপ্তার, হামলা ও মামলার ভয়ে এলাকা ছেড়েছেন আসামিপক্ষের লোকজন। এলাকা এখন পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। প্রতিপক্ষরা যে কোনো সময় আবারও হামলা করতে পারে এমন আশঙ্কায় নারী ও শিশুরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই গত বুধবার রাতে উত্তর চাঁদপুর গ্রামের আসামিপক্ষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটানো হয়।
কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম জানান, মামলার অন্য আসামিদের আটকের জন্য চেষ্টা চলছে।
নিহতের স্বজনরা বলেন, নান্নু গত বুধবার ইফতার শেষ করে বাড়ি থেকে কেশবপুরে তার ইজারা নেয়া দিঘিতে যাচ্ছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন পথিমধ্যে তার গতিরোধ করে জোরপূর্বক পাশের একটি ভুট্টা খেতে নিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
টিএইচ