কুমিল্লায় পৃথক জায়গা থেকে রাতের ব্যবধানে এক নারীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার দিনগত রাত থেকে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, লক্ষ্মীপুর উপজেলার দহশালা শাকচর গ্রামের মো. নুরুজ্জামানের ছেলে মুহাম্মদ আলতাফ হোসেন ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বান্দুয়াইন পূর্বপাড়ার মৃত আইয়ুব আলীর স্ত্রী কমলা বেগম। এদের মধ্যে আলতাফ হোসেন প্রগতি ইন্সুরেন্সে চাকরি করতেন। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সদর দক্ষিণ থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের খাল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একজনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি জ্যাকেট পরিহিত ছিলেন।
তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা বলেন, লাকসাম উপজেলার হোটেল ড্রিমল্যান্ড থেকে আলতাফ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি প্রগতি ইন্সুরেন্সে চাকরি করতেন। মরদেহ উদ্ধারের পর আমরা তার পরিবারকে জানিয়েছি। তার পরিবার আসছে। তবে আমরা এখনো জানি না তিনি এখানে কীভাবে এলেনন এবং কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলমান।
অন্যদিকে মনোহরগঞ্জ থানার এসআই ইমন হোসেন জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রোববার দিনগত রাত দেড়টার দিকে মনোহরগঞ্জের বান্দুয়াইন গ্রামের সড়কের পাশ থেকে কমলা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
টিএইচ