নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাবেক এমপি ও দৌলতপুর উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের ঝাউদিয়া গ্রামে পথসভায় বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি নৌকার পক্ষে ভোট চান। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে পথসভার বক্তব্যে রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, আপনারা আমাকে ভোট দিবেন। আপনাদের ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবসহ সবাইকে বলবেন আমাকে ভোট দেয়ার জন্য। আমি আপনাদের এলাকার অনেক রাস্তা করে দিয়েছি, আগামীতে আরও রাস্তা করে দেবো। আপনাদের কোনো সমস্যা হলে আমার কাছে যাবেন। আমি আপনাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরী নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না। তিনি ও তার সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে পথসভা করছেন এবং ভোট চাইছেন। তার বক্তব্যের ভিডিও অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করেন। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন আ.লীগের কয়েকজন নেতা।
নির্বাচন কমিশনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধির ১২ ধারায় বলা আছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এর আগে ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাবেক এমপি ও দৌলতপুর উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরীর মুঠোফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি। তবে দুইবার দুইজন কল রিসিভ করে জানান, তিনি ব্যস্ত আছেন।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. এহেতেশাম রেজা বলেন, তফসিল অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ নেই। প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট চাওয়া আচরণবিধি লঙ্ঘন। খোঁজ নিয়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আ.লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরী। তিনি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ে আ.লীগের প্রার্থী আফাজ উদ্দিন আহমদকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি দৌলতপুর উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
টিএইচ