কুষ্টিয়ায় দৌলতপুর উপজেলার একটি হত্যা মামলায় জাসদ নেতাসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রায় দিয়েছেন আদালত। রোববার (৮ অক্টোবর) কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক আবীর পারভেজ জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতেই এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদণ্ডসহ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মিরপুর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে কুষ্টিয়া জেলা জাসদের প্রচার সম্পাদক কারশেদ আলম (৪৮), বিল আমলা গ্রামের মৃত বরকত উল্লাহর ছেলে আব্দুর রশিদ (৫৮) এবং মৃত এছের আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৫৯)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৫ আগস্ট রাতে দৌলতপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলেক চাদের ছেলে সাহাজুল ইসলামকে (২২) পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে উপর্যুপরি লাঠিসোটা রড চাপাতি রামদা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে জখম করে।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাহাজুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। সেখানে শারিরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাহাজুলকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ৭ দিনপর সাহাজুল মারা যায় । এঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই মৃত আজগার আলীর ছেলে বাদি হয়ে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ এজাহার নামীয় ১১জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে দৌলতপুর থানা পুলিশ চার্জশিট দেয় আদালতে।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, দৌলতপুর থানার সাহাজুল হত্যা মামলায় জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ শুনানী শেষে ৩ জনের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ প্রত্যেককে পৃথকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডাদেশ অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় বাকী ৮জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
টিএইচ