কুড়িগ্রামে বন্যার ঘাটতি পুষে নিতে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। গত বছরে দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর চাষিরা ঝুঁকেছেন আলু চাষে। কুড়িগ্রাম কৃষি সমপ্রসারণ অফিস বলছে এ বছর কুড়িগ্রামে ৭ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা এবার লাভবান হবেন।
কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী, উলিপুর, রাজারহাটসহ অন্য উপজেলার চরাঞ্চল, পতিত ও আবাদি জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ হচ্ছে। রোমানা, এস্টেরিক, কার্টিনাল, উফশি, সানসাইন ছাড়াও দেশি জাতের আলু চাষ হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের মাস্টারহাট ধরলা নদীর চরে কৃষকরা আগাম আলু চাষ করছেন। জমি তৈরি, আলু বীজ রোপণ, সার প্রয়োগে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সহযোগিতা করছেন। অন্য ফসলের তুলনায় আলু চাষে সময় কম ও লাভ অনেক বেশি। মাত্র দুই মাসের মধ্যে আলু উত্তোলন করে ভূট্টা, সরিষাসহ অন্য ফসল চাষ করতে পারেন কৃষকরা।
হলোখানা ইউনিয়েনের আলুচাষি মো. নুরু বলেন, বন্যার ঘাটতি পুষে নিতে এ বছর আমরা আগাম আলু চাষ করছি। আমি এবার ৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। বিঘা প্রতি ৪০থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আলুর ফলন ভাল হবে। সে অনুযায়ী বিঘা প্রতি লাখ টাকা বিক্রির আশা করছি।
কুড়িগ্রাম সেকেন্দার কোল্ড স্টোরের মালিক মো. সেকেন্দার আলী বলে, গত বছরের তুলনায় এ বছর আলু চাষিদের আলু চাষে আগ্রহ বেড়েছে। চাহিদার সঙ্গে বীজ সংরক্ষণ কম হলে আলু চাষিদের বীজ নিয়ে সংকট হতে পারে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে। আবহাওয়া অনুকূল ও বাজারদর ভালো থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে।
টিএইচ