শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

কুড়িগ্রামে পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ

বন্যার পানিতে কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলার ১৮৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র পার্শ্ববর্তী নিচু স্থানসহ চর-দ্বীপচরের ঘরবাড়িগুলো বন্যার পানিতে ডুবে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে বিশুদ্ধ খাবার পানি, শুকনো খাবার ও শৌচাগারের সংকটে পড়েছে বানভাসি মানুষ।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, শনিবার বিকালে ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার, দুধকুমার নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৬ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া কাউনিয়া পয়েন্ট তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম বন্যা নিয়ন্ত্রণ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত আমিনুল ইসলাম জানান, বন্যার পানিতে ১৮৫টি গ্রামের ১৬১ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এক হাজার ৬৬০টি আর পানিবন্দী পরিবারের সংখ্যা ১৪ হাজার ৬০টি। ফলে মোট ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৬২ হাজার ৮৮০জন। নদীভাঙনে ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার্ত মানুষের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৬১টি আশ্রয় কেন্দ্র।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সবকটি নদ-নদীর পানি তিন-চারদিন পানি ওঠানামা করতে পারে। এরপর পানি নেমে যাবে। কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন স্থায়ী হবে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, ইতিমধ্যে ৬৮ মে.টন চাল উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের কাছে ৫৮২ মে.টন চাল, ১০ লাখ টাকা ও ১ হাজার ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। আমরা বন্যার্তদের তালিকা করছি, তালিকা অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।’

টিএইচ