নবান্নের শুরুতে কুড়িগ্রামে বাড়তে শুরু করেছে শীত ও ঘন কুয়াশা। দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম ভারতের সীমান্তবর্তী হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যা হতেই বেশী শীত অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এর মাত্রা একটু বেড়ে গেছে।
গত একসপ্তাহ ধরে ব্যবধান হচ্ছে দিন ও রাতের তাপমাত্রার অনুপাত। সকালের দিকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে এ অঞ্চল। দিনে ঠান্ডার তীব্রতা না থাকলেও সন্ধ্যার পর পর ঠান্ডার তীব্রতা আরও বাড়তে থাকে। সন্ধ্যায় গরম কাপড় ছাড়া বাহিরে যাওয়া যায় না।
দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষজন সকালে কুয়াশা ও ঠান্ডা উপেক্ষা করে নিজ নিজ কাজে যাতায়াত করছে। শিক্ষার্থীরা সোয়টার পরে বিদ্যালয় যাচ্ছে। কুয়াশার কারণে রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে বাস, ট্রাক চালাচ্ছে। নবান্নে কৃষকরা ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
পাঁচগাছি এলাকার মাছ বিক্রেতা নারায়ণ চন্দ্র বলেন, আমরা কয়েকজন প্রতিদিন শুলকুর বাজার, পাঁচগাছি ও যাত্রাপুর নদী এলাকা থেকে মাছ কিনে শহরে গিয়ে বিক্রি করি। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা ও কুয়াশা বাড়তে শুরু করছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) ঠান্ডার সাথে কুয়াশা বেশী। সামনে মাসে ঠান্ডা বেশী হলে আমাদের সাইকেল নিয়ে যাতায়াতে অনেক কষ্ট হবে। কিন্তু উপায় নাই সংসার চালাতে হবে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার (১৭ নভেম্বর) কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন ১৬ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে এখনও তাপমাত্রা তেমন না কমলেও আগামী মাসে তাপমাত্রা অনেকটা কমতে পারে।
টিএইচ