চলমান কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অস্থিরতায় বান্দরবানের থানচির পর্যটন খাতে পুরোপুরিভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। পর্যটনের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা এখনও বেকার সময় পার করছেন।
বিশেষ করে গেলবারের ইস্টার সানডে, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের ছুটিতে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে কোন পর্যটক আসছে না। পুরো উপজেলায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে এই পর্যটন মৌসুমে। দেশের পর্যটকদের প্রিয় পর্যটন তালিকা থেকে তাদের ভ্রমণের শিডিউল থানচির পরিবর্তে অন্যদিকে একরকম মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে পর্যটকরা।
পর্যটক গাইড সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, প্রতিবছর থানচিতে বেড়াতে আসা পর্যটকের সংখ্যা বেড়েই চলছিল। কিন্তু চলমান কেএনএফ ব্যাংক ডাকাতির ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে পর্যটকের আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন আমরা দুঃসময় কাটাচ্ছি। থানচিতে নিবন্ধিত গাইডদের সংখ্যা দুশতাধিক। পর্যটক না আসায় গাইডরা এখন দিন মঞ্জুর করে চলেছে।
এজন্য থানচিতে পর্যটন খাতের সঙ্গে জড়িত গাড়ি ড্রাইভার, মোটরগাড়ি মালিক সমিতি, ইঞ্জিনচালিত নৌকা ড্রাইভার, হোটেল-রিসোর্ট ও পর্যটক গাইডদের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
হোটেল রিসোর্স মালিক ও কবি উমং শিং মারমা বলেন, ছোট বড় প্রায় শতাধিক হোটেল রিসোর্ট রয়েছে এই উপজেলায়। ইস্টার সানডে, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের টানা লম্বা ছুটির এই পর্যটন মৌসুমেও আমাদের রিসোর্টগুলোতে রয়েছে পর্যটক শূন্য। এতে হোটেল রিসোর্ট মালিকরা বিরাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, পাশাপাশি পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে।
কথা হয় ইঞ্জিনচালিত নৌকার মালিক ও ড্রাইভার হ্লাচিংমং মারমার সঙ্গে বলেন, পর্যটক না আসায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা ড্রাইভাররা এখন বাড়িতে বেকার সময় কাটাচ্ছে। নৌকা চালাতে না পারায় সংসার চালাতে পারছে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে সামনে দিনগুলো আরও কঠিন সময় পার করতে হতে পারে আমাদের।
এ বিষয়ে ইউএনও মোহাম্মদ মানুন বলেন, এই উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের সুনির্দিষ্ট কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে সমপ্রতি কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) কর্মকা্ল কারণে সাময়িকভাবে পর্যটকদের ভ্রমণের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে, তবে সাময়িক। বর্তমান পরিস্থিতি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
টিএইচ