বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

কেশবপুরে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে এনজিও পরিচালক উধাও 

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

কেশবপুরে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে এনজিও পরিচালক উধাও 

যশোরের কেশবপুরে সুবিধা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি ও নবযুগ সংস্থা নামে বেসরকারি সংগঠন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় চার হাজার সদস্যদের সঞ্চয়ের ৫০ লাক্ষাধিক টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন। 

প্রতিদিন শত শত মানুষ সঞ্চয়ের টাকা ফিরে পেতে ওই অফিসে ধরনা দিচ্ছে। এ ব্যাপারে  ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মী রাব্বি হাসান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ২০২০ সালে কেশবপুর পৌরসভা ভবন সংলগ্ন আতাউর রহমান কমপ্লেক্সের ২য় তলায় গড়ে ওঠে সুবিধা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি ও নবযুগ সমিতি। এর পরিচালক ছিলেন উপজেলার মজিদপুর গ্রামের ইসমাইল মোড়লের ছেলে আব্দুল মজিদ। তার সাথে অন্য পদে ছিলেন, বাঁকাবর্শী গ্রামের কামরুজ্জামান কেশবপুর সদরের ইউসুপ আলী ও গড়ভাঙ্গা গ্রামের  আশিকুজ্জামানের ত্ববাধায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান  যার নিবন্ধন নং- ০৯/জে, তাং ২৬/০১/২০ ও যশোর-৫৯৭/৯৯ তাং ২২/০৩/১৯৯৯। 

আব্দুল মজিদ বিভিন্ন এলাকার বেকার যুবক, যুবতীদেরকে কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন। তাদের মধ্যে রাব্বি হাসান, আলমগীর, শামীমা বেগম, বিউটি দাশ, শিউলী মালা, শহিদুল ইসলাম। তারা  উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সহজ সরল মানুষদের ওই সমিতির সদস্য করে তাদেরকে কিস্তিতে সংসারের প্রয়োজনীয় মালামালসহ ফার্নিচার দেয়ার কথা বলে সমিতির সদস্য করে মোটা অংকের টাকা সঞ্চয় আদায় করে লাখ লাখ টাকা ওই সমিতির অফিসে জমা দিতেন। 

সমিতির আদায় কর্মী রাব্বি হাসান বলেন, চলতি বছরের ৭ জুলাই আমরা অফিসে এসে দেখতে পায় অফিসে তালা ঝুলানো। এসময় সমিতির পরিচালক আব্দুল মজিদের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। প্রতিদিন সমিতির সদস্যরা তাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত নেয়ার জন্য অফিসে ধরনা দিচ্ছে। সদস্যরা সমিতির পরিচালকের কোন হদিস না পেয়ে টাকার জন্যে আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রেখেছেন। এমতবস্তায় আদায়কারীরা পড়েছেন বিপাকে। 

এব্যাপারে উপজেলা র্নিবাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি সমবায় অফিসারকে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সমবায় অফিসার নছিমা খাতুন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আব্দুল মজিদের কাছে নোটিশ করা হয়েছে। সেই নোটিশ আমার অফিসে ফেরত এসেছে। তার ওই অফিস তালবদ্ধ রয়েছে। পুনরায় তার বাড়ির ঠিকানায় নোটিশ করা হয়েছে।  

টিএইচ