সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

কোটালীপাড়ায় সরকারি খাল দখলের অভিযোগ

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

কোটালীপাড়ায় সরকারি খাল দখলের অভিযোগ

গোপালগঞ্জে সরকারি খাল বিল ও কালভার্টের মুখে বাঁধ দিয়ে  মাছ চাষ করছেন প্রভাবশালীরা। পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গ্রামের শত শত  পরিবারের ভোগান্তি এখন চরমে। স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের পালা বদলে হাত বদল হয়েছে একাধিকবার। খাল অবমুক্ত হয়নি এখনও। এসব ভূক্তভোগীরা খাল ও বিল অবমুক্ত করার জোর দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের প্রতি।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের কাচিকাটা, দিঘলিয়া, ছিকটীবাড়ী, দেবগ্রাম, পাড়কোণা, কান্দি ইউনিয়নের ধারাবাশাইল, নয়াকান্দি, তারাইল, মাচারতারা, কাচারিভিটা,  কুশলা ইউনিয়নের চৌরখুলী, মান্দ্রা, ধোড়াল কান্দি, বিরামের কান্দি, পিনজুরী  ইউনিয়নের গোপালপুর, ছত্তরকান্দা, দেওপুরা, সোনাখালীসহ রামশীল, কলবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন সরকারি খাল এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। 

এ সমস্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন সরকারি খালের মধ্যে ও কালভার্টের মুখে  বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। খালগুলো এখন পানি চলাচল বন্ধ হয়ে বর্ষা মৌসুমে প্রতিনিয়ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে ওই সব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শত শত পরিবার।

স্থানীয় ভূক্তভোগীরা বলেন, এ খালগুলো থেকে আমরা বর্ষাকালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি ও গবাদিপশুর জন্য ঘাস কাটি এবং পাট জাগ দিতাম কিন্তু খালগুলো বন্ধ করে দেয়ায় আমরা এসব থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। 

তারা আরো বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ খালগুলো পানি চলাচলের জন্য সরকারিভাবে কেটে অবমুক্ত করে দিলে ভোগান্তির শিকার হতে হবে না। এছাড়া এলাকার স্বল্প আয়ের মৎস্যজীবীরা মুক্তভাবে মাছ আহরণে ফিরে পাবে তাদের জীবিকার মূল মাধ্যম এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের।

এ সর্ম্পকে দেশীয় মাছ ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম হাজরা মন্নু বলেন, কিছু প্রভাবশালীরা খাল, বিল ও কালভার্টের মুখে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। সরকারি খালে যে বাঁধগুলো দেয়া হয়েছে তা অতিদ্রুত প্রশাসনের অপসারণ করা দরকার। 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস  বলেন, তারা সম্মিলিতভাবে ঘের কাটলে কোনো আপত্তি নেই কিন্তু সরকারি খালের মুখ বন্ধ করে নয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ  বলেন, সরকারি খাল দখল করে বাঁধ দিয়ে যারা মাছ করছেন বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিগগিরই খাল কেটে জনভোগান্তি দূর করা হবে।

টিএইচ