আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সারথি। ক্ষমতা নয়, আমি জনগণের সেবক হতে চাই। আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নমিনেশন পেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিজয় উপহার দেব ইনশাআল্লাহ।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের বাসস্ট্যান্ড মোড়ে বিশাল এক নির্বাচনি জনসভায় উপরোক্ত মন্তব্য করে বক্তৃতা দেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা, দৈনিক আমার সংবাদ ও দ্য ডেইলি পোস্টের সম্পাদক-প্রকাশক জননেতা হাশেম রেজা।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ জনগণ আমার ক্ষমতার উৎস। তাদের কাছে আমি প্রতিনিয়ত যাচ্ছি। তাদের সুখে-দুঃখে, সময়-অসময়ে পাশে থাকার চেষ্টা করছি। বিগত সময়ে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে আন্তরিক চেষ্টা করেছি। আমি আশাবাদী, আমার প্রতি জনগণের যে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে, তাতে মনোনয়ন পেলে আমি নিশ্চয়ই বিজয়ী হবো। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই নৌকা প্রতীক দিন না কেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকাকেই বিজয়ী করব।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য নৌকায় ভোট দেয়ার কোনো বিকল্প নেই। আর সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঈর্ষণীয় উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট নানা অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার কারিগর শেখ হাসিনাকে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসাবে। এজন্য আজ আপনারা যারা পথসভায় আমার সঙ্গে মিলিত হয়েছেন, তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নৌকার ভোটকে জোয়ারে পরিণত করতে হবে।
জনাব হাশেম রেজা বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন জনগণের সেবা করে যেতে চাই। মানুষের জন্য কাজ করাই আমার মূল উদ্দেশ্য। মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারলে নিজের ভালো লাগে। ক্ষমতা নয়, আমি জনগণের সেবক হতে চাই।
পথসভা ও নির্বাচনি গণসংযোগে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আব্দুল হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের কৃষক লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম, জুড়ানপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি শরিফ উদ্দিন, জুড়ানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইনুদ্দিন মেম্বার, উথলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সরফরাজ উদ্দিন, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুজ্জামান ডাবলু, আশরাফুল মেম্বার, সানোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সাহাবুল ইসলাম, বাবুল আক্তার, মনোহরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ উদ্দিন, জীবননগর উপজেলা যুবলীগ নেতা শাকিল আহমেদ, মাসুম বিল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, পবন কুমার, নবাব আলী, রবি বিশ্বাস, আব্দুস সামাদ, মুক্তার আলী, জহুরুল, শাহাবুদ্দিন, আলিম বিশ্বাস, কবীর উদ্দিন, জাহিদ, বেগমপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাব্বির আহমেদ, ছাত্রলীগ নেতা আলামিন, শাহাবুদ্দিন খান, আশরাফুল, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন আলম বিশ্বাস, অলিয়ার মণ্ডল, রাশেদুল ইসলাম, কবীর হোসেন, যুবলীগ নেতা ডন, শাকিল, সাব্বির, জিয়া, সবুজ, জহুরুল, কানু, পিন্টু শাহীন, মিল্টু, দেলোয়ার, আজিম, ছাত্রলীগ নেতা রঞ্জু, আল আমিন, হোসেন, রকি, মজিবুর রহমান যুবলীগ নেতা আ. মজিদ, রবিউদ্দিন, আবু বক্কর, মামুন, আশরাফুল মেম্বার, রফিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা মশিউর রহমান, তারিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, জহিরুল, সাইফুল, নবাব, পিন্টু, হাইদার, ছলিম, শুভ, শুকুর আলী, আবু সাইদ, মন্টু, ছাত্রলীগ নেতা রকি, শুভ, রাশেদ মোল্লা, সৌরভসহ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুবলীগ নেতা জেবা।
টিএইচ
