দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রামে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ে উপলক্ষে কনের বাড়িতে চলছিল জাঁকজমক অনুষ্ঠান। বিয়ের অনুষ্ঠান প্রায় শেষের দিকে ছিলো। কনেকেও সাজানোর কাজ শেষ।
এমন সময় বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন ইউএনও। উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে বর ও কনেসহ সবাই পালিয়ে যান। কনে নাজমিন আক্তারের বয়স মাত্র (১৭) সবে মাত্র দশম শ্রেণি পাস করেছে।
গ্রামবাসী ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, খামারপাড়া ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রামের মো. ছয়ফুল ইসলামের মেয়ে নাজমিন আক্তারের (১৭) উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের কুমুরিয়া গ্রামের আব্দুর সামাদ ছেলে সহিদুল ইসলামের (২২) বিয়ে ঠিক হয়।
খবর পেয়ে ইউএনও মো. তাজ উদ্দীন নিজেই কনের বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন।
পরে কনের বাবাকে ডেকে নিয়ে এসে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দিতে তার কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়। এবং ১৮ বছর না হওয়ার জন্য বরের বাবাকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বিয়ে বন্ধ ও জরিমানার বিষয়টি ইউএনও মো. তাজ উদ্দীন জানিয়েছেন।
টিএইচ