বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
ঢাকা বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Post

খুলনায় অবৈধ ইজিবাইকের যানজটে নাকাল নগরবাসী

খুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় অবৈধ ইজিবাইকের যানজটে নাকাল নগরবাসী

এক সময় খুলনাকে বলা হতো যানজটমুক্ত শান্তির শহর। তবে অবৈধ ইজিবাইকের অবাধ বিচরণ, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা, পার্কিংসহ নানা কারণে খুলনা এখন যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে। নগরীতে দিন দিন বেড়েই চলেছে অবৈধ ইজিবাইক এবং ব্যাটারিচালিত রিকশার দৌরাত্ম্য। অনুমদোনবীহিন এসব বাহনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর।

যার ফলে নগরীর সোনাডাঙা, গল্লামাড়ি, শিববাড়ি, ময়লাপোতা, রূপসাঘাট, বয়রাবাজার, দৌলতপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো তাদের দখলে। নিয়মনীতি না মেনে যত্রতত্র যাত্রী উঠানো-নামানোর কারণে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।

কোনো কোন মোড়ে নগরবাসীকে পড়তে হয় দীর্ঘক্ষণ জ্যামে। যার ফলে নষ্ট হয় সময়। এসব মোড়গুলোতে ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল রাখতে পুলিশকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমনকি অদক্ষ চালকের বেপরোয়া গতির কারণে প্রতিদিন ঘটছে কোন না কোন দুর্ঘটনা। তাছাড়াও ঘটছে চালককে খুন করে ইজিবাইক ছিনতাই ও চুরির ঘটনা।

আল মামুন নামে এক যাত্রী বলেন, খুলনায় ইজিবাইকের সংখ্যা এতো বেশি যে রাস্তার যে কোন জায়গায় দাঁড়ালে সহজেই পাওয়া যায়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা লাগে না, এক দিক দিয়ে সুবিধা হলেও অতিরিক্ত ইজিবাইকের কারণে রাস্তায় সুশৃঙ্খলা নেই। এই জন্য এখন শহরে জ্যাম সৃষ্টি হয়।

এদিকে ২০২০ সালে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) প্রায় ৮ হাজার ইজিবাইককে লাইসেন্স দেয়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত নবায়ন হয়েছে ৬ হাজার ৮৯০টি। তবে অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে নগরীতে চলাচল করছে প্রায় অর্ধলাখ ইজিবাইক, যার অধিকাংশই অনুমোদনহীন, ভুয়া স্টিকার ও নকল কাগজে চলছে।

কেসিসির লাইসেন্স অফিসার শেখ মো. দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘নগরীতে অনুমোদনের তুলনায় ৩ থেকে ৪ গুণ ইজিবাইক চলাচল করছে। এ কারণে স্টিকার জালিয়াতি বেড়েছে। তবে এবার স্মার্ট কার্ড চালু করা হবে, যা ডিভাইস দিয়ে যাচাই করা সম্ভব হবে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইজিবাইক চলাচলে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় এমন বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে যানজট আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

নগরবাসীর প্রত্যাশা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে, যাতে প্রতিদিনের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক ও নিরাপদ হয়।

টিএইচ