শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫
ঢাকা শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

গজারিয়ায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

গজারিয়ায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

গজারিয়ায় তিন সন্তানের জননী গৃহবধূ মাহমুদা আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। তবে নিহতের গায়ে আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার স্বজনরা। 

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের তার স্বামীর বাড়িতে মৃতদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা। নিহত মাহমুদা আক্তার আড়ালিয়া গ্রামের ইমরানের স্ত্রী বলে জানা গেছে।

খবর নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ে মাহমুদার সঙ্গে একই ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে ইমরানের সঙ্গে বিয়ে হয়। নয় বছরের সংসার জীবনে তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। মাহমুদার স্বামী ইমরান সৌদি আরব প্রবাসী, গত প্রায় এক মাসে আগে সে ছুটিতে বাড়িতে আসে। প্রতিবেশী কয়েকজন জানায়, পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতো।

সর্বশেষ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া এবং মাছ কাটা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মাহমুদাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা। তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহতের মা মর্জিনা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে তাদের পালিয়ে যাওয়া প্রমাণ করে তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।  

নিহতের ভাসুর ওয়াসিম বলেন, মেয়েটির রাগ অনেক বেশি ছিল। আমার ছোট ভাই সেটা মেনে নিয়ে সংসার করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ঘরের দরজা বন্ধ করে সে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে পরে আমরা তাকে উদ্ধার করি। 

এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর সে আবারও ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর জানালা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পাই আমরা।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ বর্তমানে গজারিয়া থানায় রয়েছে। নিহতের গায়ে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

টিএইচ