শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

গাইবান্ধায় বেড়েছে ভুয়া কাজীদের দৌরাত্ম্য 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় বেড়েছে ভুয়া কাজীদের দৌরাত্ম্য 

গাইবান্ধা জেলায় সকল বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে ভুয়া কাজীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। গাইবান্ধা থেকে পলাশবাড়ী রাস্তায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশে ভুয়া কাজীর আস্তানা। জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী মহল। এখানে ভুয়া কাজীর তাদের পসরা বসিয়ে বাল্যবিয়েসহ বৃদ্ধ পর্যন্ত রেজিস্ট্রি করছে। 

এ বিষয়ে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জেলা রেজিস্ট্রার গাইবান্ধা জহুরুল ইসলামকে মুঠোফোনে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি এই ভুয়া কাজীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন। 

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ আল হাসানকে প্রশ্ন করলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান। 
গাইবান্ধা সদর সাব রেজিস্ট্রার মো. মেহেদী হাসান বলেন, সাব কাজী তথা ভুয়া কাজীদের বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, তার কোন ক্ষমতা নেই। 

এসব ভুয়া কাজীদের খপ্পরে শিশু যুবক যুবতীসহ নানা বয়সের মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন ও কার্যালয়ের দক্ষিণে ভুয়া কাজীদের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে 

তিনি বলেন, আশপাশ আরও অনেক কাজী তাদের কাগজপত্র এবং লাইসেন্স না থাকায় রেজিস্ট্রি করে যাচ্ছে। 

অপরদিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি রুহুল আমিন নামের কাজীর বই দিয়ে তালাক রেজিস্ট্রির কাজ করে থাকেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গাইবান্ধা জেলার ৮১ ইউনিয়ন এবং চারটি পৌরসভায় বৈধ কাজীদের ছত্রছায়ায় প্রায় ৩ শতাধিক সাব কাজী তথা ভুয়া কাজীর খোঁজ পাওয়া গেছে। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে একজন কাজী তার সাব কাজী রেখেছেন প্রায় ছয়-সাত জন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত কাজীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত জরুরি বলে মনে করেন সচেতন মহল।

টিএইচ