আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লা খান। গত শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠন হওয়ার পর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালে ৭ জুলাই। ওই সময় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আজমত উল্লা খান।
অপরদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম স্বতন্ত্র্য প্রার্থী হিসাবে ‘আনারশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে নামেন। ওই সময় নানা নাটকীয়তায় তিনি (জাহাঙ্গীর আলম) ব্যাপক আলোচনায় আসেন এবং পরবর্তীতে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে আসেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানের। তিনি বিএনপি প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নানের নিকট ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭৭ ভোটে পরাজিত হন।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায় গত ৯ এপ্রিল থেকে বুধবার গাজীপুরসহ পাঁচ সিটি করপোরেশন ও পাঁচ পৌরসভার মেয়র এবং তিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। গাজীপুর সিটির আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১৭ নেতাকর্মী মেয়র পদে নৌকা পেতে আওয়ামী লীগের সদর দপ্তরে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার পর আজমতউল্লাহ খান বলেছিলেন, তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন দিয়ে গাজীপুর সিটি গঠন করেছিলেন সে স্বপ্ন পুরণ হয়নি। গত ১০ বছরে পরিকল্পিত নগর গঠনে কোন মাস্টার প্লান করা হয়নি। নাগরিকরা সেবা বঞ্চিত হয়েছে। নগর ভবন দুনীতিতে জড়িয়ে পড়েছে।
এখানে একজন যোগ্য লোক প্রয়োজন। আমার বিগত দিনের অবদানের মূল্যায়ণ করে প্রধানমন্ত্রী আমাকেই দায়িত্ব দিবেন বলে আমার বিশ্বাস। তিনি দায়িত্ব দিলে আমি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করব।
গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এইচ এম কামরুল হাসান জানান, গাজীপুর সিটি করর্পোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে ১ জন মেয়র, ৫৭ জন পুরুষ ও ১৯জন নারী কাউন্সিলরের পদ রয়েছে।
তিনি আরো জানান, সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন। পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩৩, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮১২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) ভোটার রয়েছে ১৮ জন। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭শে এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০শে এপ্রিল, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৮ই মে, প্রতীক বরাদ্দ ৯ই মে এবং ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৫শে মে। মোট ভোট কেন্দ্র ৪২৫টি। ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে।
টিএইচ