নাটোরের গুরুদাসপুরে ছেলের ওপর অভিমান করে বাবা-মায়ের একসঙ্গে বিষ পান করার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৮ মে) উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। বিষ পানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মো. আলম শেখ ও তার স্ত্রী মোছা. নাজমা বেগম।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবা আলম শেখ জানান, তার দুই মেয়ে এক ছেলে। একমাত্র সন্তান মো. সবুজ শেখকে তার শেষ সম্বল সকল জমিজমা লিখে দিয়েছিলেন। ছেলে তাকে কথা দিয়েছিলো সংসারের সকল দায়িত্ব এবং তার সকল ঋণ পরিশোধ করে দিবে। কিন্তু জমি লিখে নেয়ার পর ছেলে তার কথা রাখেননি।
এদিকে ঋণের কারণে পাওনাদারদের অপমান-অপদস্থ নীরবে সহ্য করতে হতো তাকে। তাছাড়াও ছেলে ও ছেলের বউ তাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনের সঙ্গেই খারাপ ব্যবহার করতো। একপর্যায়ে নিজেদের জীবনের উপর অতিষ্ঠ হয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী বিষ পান করেছেন।
ছেলে সবুজ শেখের কাছে বাবা-মায়ের বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার চাচাতো ভাই জুয়েল রানা বলেন, তার চাচা-চাচি দুজনেই সুস্থ হলে পারিবারিকভাবে বসে এ বিষয়গুলো সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. স্নিগ্ধা আক্তার জানান, ‘বিষ পান করে স্বামী-স্ত্রী ভর্তি হয়েছেন। দুজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে অলম শেখের স্ত্রী নাজমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
টিএইচ