গুরুদাসপুরে ধর্ষণের শিকার হয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন ১০ মাস আগে। প্রতিবেশী দুসম্পর্কের অভিযুক্ত নানা জাহিদুল খাঁ (৫০) ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে সপ্তাহ খনেক হলো।
এরই মধ্যে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারের মাধ্যমে ওই স্কুলছাত্রীর কোল জুড়ে জন্ম নিয়েছে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান। বাঁচ্চাটিকে এক নজর দেখতে উৎসুক জনতার ভির জমেছে হাসপাতালে।
ওই স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিশেজ্ঞ ডাক্তার নারগিস তানজিমা ফেরদৌস ও প.প. কর্মকর্তা ড. মোজাহিদুল ইসলাম জানান, স্কুলছাত্রীটি ছোট থাকায় মা ও নবজাতককে বাঁচানো নিয়ে টেনশানে ছিলাম। যা হোক অবশেষে সফল অস্ত্র পাচার হয়েছে।
মা ও নবজাতক সুস্থ্য রয়েছে। ওই স্কুলছাত্রীর দাদী জানান, আমি গরিব মানুষ অন্যের বাড়িতে কাজ করে অতি কষ্টে সংসার চালাই। এ ব্যাপারে আমাদের কষ্টের কথা ভেবে প্রয়াত স্থানীয় এমপি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্ধুস ১৫দিন আগে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এগুলো দিয়েই ওর সেবা করেছি। এখন নানা চিন্তা আমাকে আঁকড়ে ধরেছে। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। নবজাতকটিকে যদি কেই দত্তক নিতো তাহলে কিছুটা হলেও সস্তি পেতাম।
উল্লেখ্য, এলাকার এক দুসম্পর্কের নানা জাহিদুল খাঁ মাঝে মধ্যে শিশুটিকে নিয়ে তার ভ্যানে করে স্কুলে আনা নেয়া করতো। পরে ৫ মাস পর শিশুটির শারীরিক পরিবর্তন দেখে পরিবারের মানুষ জিজ্ঞেস করলে কোনো উত্তর দেয়নি শিশুটি। তবে পরীক্ষা করার পর গর্ভে সন্তান থাকার কথা জানতে পারে পরিবার।
পরবর্তীতে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে আল্ট্রাসনো করার মাধ্যমে চিকিৎসক অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানা যায়। পরে শিশুটি এ ঘটনা তার পরিবারকে খুলে বলে। পরে গত ১৮ জুন শিশুটির দাদী হালিমা খাতুন বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
দীর্ঘ সময় পরে র্যাব-৫ গত ২৬ আগস্ট সকালে অধিনায়ক ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার হেলেঞ্চা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া জাহিদুল খাঁ গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাড়িবাড়ি গ্রামের মৃত্য কালু খাঁর ছেলে।
টিএইচ