গত ২১মে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল লতিফ প্রধানের সমর্থক নেতাকর্মীরা শিবপুর ইউনিয়নের পাড়া কচুয়া গ্রামের মৃত্যু রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম বাবুসহ সাক্ষীদের বাড়িঘরে হামলা লুটপাট চালানো ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে গত ২৫মে জালাল উদ্দিন রুমিসহ ১৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যার মামলা নং ২৭ , জিআর নং ২০৩।
ওই মামলায় উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান মণ্ডলসহ ১১৮ জন নেতাকর্মী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ও কারাবন্দি রুমির পক্ষে ০৩ জুন গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হাসানের আদালতে কৌশলীর মাধ্যমে জামিনের জন্য আবেদন করলে ম্যাজিস্ট্রেট কয়েক দফায় শুনানি শেষে সব আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানের আদেশ দেন।
এদিকে সব আসামিদের কারাগারের অভ্যন্তরে পাঠানোর ঘটনাকে নজিরবিহীন বললেন আসামিপক্ষের শুনানিতে অংশগ্রহণকারী কৌশলীর একাংশ।
উল্লেখিত মামলায় আরো জানা গেছে, উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন গ্রাম ও এলাকার আ.লীগ নেতা কর্মীদের সঙ্গে এমনকি প্রিজাইডিং অফিসার, বিভিন্ন নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এজেন্টদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ সব ডকুমেন্ট আদালতে উপস্থাপন করা হলেও অদৃশ্য শক্তির হস্তক্ষেপে এগুলো আমলে নেয়া হয়নি বলে কৌশলী ও ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ।
আ.লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মো. মোকাদ্দেস আলী প্রধান বাদু, সহ-সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিক, দপ্তর সম্পাদক মো. রোকনুজ্জামান বুদু, প্রচার সম্পাদক ও কাটাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিক মাহমুদ গোলাপসহ নেতারা অনতিবিলম্বে কারাবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তিসহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
নেতারা ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান। এ বিষয়ে থানার ওসি শামসুল আলম শাহ বলেন, মামলার তদন্ত চলছে।
টিএইচ