শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post
পরীক্ষা গ্রহণের ৭ বছর 

ঘোষণা হয়নি ফেনী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মচারী নিয়োগ ফল

ফেনী প্রতিনিধি 

ঘোষণা হয়নি ফেনী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মচারী নিয়োগ ফল

ফেনী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের ০৭ বছর পেরিয়ে গেলেও ফলাফল ঘোষণা হয়নি। এতে ১৪টি ক্যাটাগরির ১৪৬টি শূন্য পদে ৩ হাজার ১৭০ জন আবেদনকারীর ভাগ্য ঝুলে আছে। অর্ধযুগ অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ফলাফল ঘোষণা না কারায় চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান সহকারী আবদুল মান্নান জানান, ২০১৫ সালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১৪ পদের জন্য ১৪৬ জন জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্যবিভাগ। 
এর মধ্যে অফিস সহকারী ১৫ জন, এমএলএসএস ১৮ জন, নিরাপত্তা কর্মী নয়জন, হোম ভিজিটর দুজন, ড্রাইভার তিনজন, আয়া সাতজন, সুইপার ১৪ জন, ওয়ার্ড বয় নয়জন, কুকার সাতজন, স্বাস্থ্য সহকারী ৪৯ জন, পরিসংখ্যান কর্মী দুজন, স্টোরকিপার চারজন, জুনিয়র মেকানিক চারজন ও মালি তিনজন রয়েছে। 

উল্লিখিত পদে ৩ হাজার ১৭০ জন চাকরিপ্রত্যাশী আবেদন করেন। পরে নিয়ম মোতাবেক ওই বছরের ৩মে সুইপার পদে আবেদনকারী ছাড়া সবাই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও দাপ্তরিক নানা জটিলতায় পরীক্ষাটির ফলাফল প্রকাশ করা যায়নি।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে তৃতীয় শ্রেণির ৫১০ পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ২৮৬ জন। শূন্য রয়েছে ২২৪টি পদ। চতুর্থ শ্রেণির ২২৪টি পদের মধ্যে ১১১টিই খালি।

বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক জনবল নিয়োগ দেয়া হলে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রমে বিদ্যমান স্থবিরতা কিছুটা কমে আসত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০১৭ সালে স্বাস্থ্য বিভাগের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার বাকি কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দেয়া হলেও তা কাগজে-কলমেই থেকে যায়।

চাকরিপ্রত্যাশী আবুল কালাম জানান, তিনি ২০১৫ সালে স্বাস্থ্য বিভাগের সার্কুলার পেয়ে আবেদন করেছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ২৯ বছর। নিয়োগ পরীক্ষা ভালো হওয়ায় অন্য চাকরির জন্য চেষ্টাও করেননি। 

বিশ্বাস ছিল তার চাকরিটা হবেই। কিন্তু ২০১৭ সালে তিনি জানতে পারেন ওই বিজ্ঞপ্তির নিয়োগ কার্যক্রমটি অনিশ্চিত হয়ে গেছে। অবশেষে মাসিক ৮ হাজার টাকা বেতনে একটি বেকারিতে ম্যানেজার পদে চাকরি নেন তিনি।

জহিরু উদ্দিন নামের এক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, অভাবের সংসারে লজিংয়ে থেকে পড়াশোনা শেষ করে স্বাস্থ্য বিভাগের চাকরির আবেদন করি। বিশ্বাস ছিল চাকরিটা আমার হবেই। সেই থেকে এখনো অপেক্ষায় আছি। তবে এখন আর চাকরিটা নিয়ে তেমন ভাবি না।

ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. শিহাব উদ্দিন বলেন, নিয়োগ কার্যক্রমটি স্থগিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত পুনরায় নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। নিয়োগপ্রার্থীদের অনেকেই এখন পর্যন্ত চাকরির প্রত্যাশা ছাড়েননি। তারা মাঝেমধ্যেই অফিসে এসে খবরা-খবর নেন। দুঃখের বিষয়, আমরা তাদের কোনো আপডেট দিতে পারছি না।

টিএইচ