শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

ঘোড়াঘাটে সওজের উচ্ছেদ অভিযান

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

ঘোড়াঘাটে সওজের উচ্ছেদ অভিযান

দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ সড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করার ঘোষণা দেয়ার পর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ও বাড়ির মালিকসহ অবৈধ দখলদাররা। তবে মহাসড়ক থেকে কতদূরে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে তা জানানো হয়নি সওজের পক্ষ থেকে।

দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের দুইধারে সওজের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নিজ দায়িত্ব সরিয়ে নেয়ার জন্য গত সপ্তাহে মাইকে প্রচার করে নোটিস দেয় দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ। 

বলা হয় ১৮ জুলাই থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে সওজের পক্ষ থেকে। এ ঘোষণার পর থেকেই ঘোড়াঘাট উপজেলায় মহাসড়কের দুই ধারে অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরিকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি আকারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, দোকানদার এবং অর্ধশত বাড়ির মালিক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। 

উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার, বাসস্ট্যান্ড ও আজাদমোড়সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় মহাসড়কের ধারঘেঁষে শত শত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর, ব্যাংক ও অফিসসহ নানা রকমের স্থাপনা আছে। তবে এসব স্থাপনার সবগুলো অবৈধ জায়গায় নয়। কিছু কিছু স্থাপনা পুরোপুরি সওজের ভূমির ওপরে এবং কিছু স্থাপনার কিছু অংশ সওজের ভূমির ওপরে গড়ে উঠেছে। তবে অধিকাংশ স্থাপনা নিজস্ব জায়গায় আছে।

ঘোষণা অনুযায়ী গত ১৮ জুলাই বিরামপুর উপজেলায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন দিনাজপুর সওজ বিভাগের কর্মকর্তারা। এতে নেতৃত্ব দেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের ভূমি আইন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ খান। 

পরেরদিন ১৯ জুলাই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় ফুলবাড়ী উপজেলায়। এই দুই উপজেলায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হলেও, ঘোড়াঘাট উপজেলায় এই অভিযান শুরু করেনি সওজ।

ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার আজাদমোড়ের কাপড় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম (৩৭) বলেন, ‘তিন বছর আগেই আমাদের সব দোকানপাট ভেঙে দেয়া হয়েছিল। পথে বসে গিয়েছিলাম আমরা। নতুন করে ধারদেনা করে আবার ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করছি। এখন আবার যদি আমাদের প্রতিষ্ঠান ভেঙে দেয়া হয় তবে ভিক্ষাবৃত্তি করে খাওয়া লাগবে অথবা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে হবে।’

দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আনফ সরকার বলেন, ‘ঘোষণা দেয়ার পর দুটি উপজেলায় আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। আপাতত এই অভিযান স্থগিত আছে। নতুন করে নির্দেশনা পেলে আমরা আবারো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করব।

টিএইচ