চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র এবং চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. আরিফ উদ্দিন রক্তাক্ত অবস্থায় ফেসবুক লাইভে এসে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের কাছে বিচার দেন এবং বিচার প্রার্থনা করেন।
অভিযোগ করেন, পরিবারের এতো বাধা বিপত্তির পরে রাজনীতি করে শরীর থেকে রক্ত ঝরানোর জন্য নয়। চট্টগ্রাম কলেজ এলাকা চকবাজার ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর মোস্তাফাটিনুর নির্দেশে তার অনুসারীরা অতর্কিত হামলা চালায়।
এতে সে মারাত্মক আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সময় লাইভে ঘটনার বিস্তারিত তুলে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বিচার দেন। এছাড়া ঘটনার বিষয়ে চকবাজার থানায় মামলার জন্য লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে কায়সার হামিদ, রবিউল ইসলাম রাজু, সাকিবুর রহমান, রবিউল, আবসার, তারেকুল ইসলাম, রাকিব খান রাহিসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামি করেন এবং ঘটনা ৮ মার্চ উল্লেখ করে চকবাজার থানাধীন চট্টগ্রাম কলেজের হোস্টেল গেটের সামনে পার্সিভ্যাল হিলের মুখে রাস্তার উপর ঘটনাস্থল উল্লেখ করেন।
কাউন্সিলর নূর মোস্তাফাটিনু অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট উল্লেখ করে বলেন, অভিযুক্তরা আমার অনুসারী, তবে তারা কেউ চকবাজার এলাকায় নেই অনেকদিন থেকে। চকবাজার থানার ওসি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য: কাউন্সিলর নূর মোস্তাফাটিনু চকবাজার চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন এবং অপরদিকে শিক্ষামন্ত্রীর অনুসারী এবং নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আ.লীগের যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নুরুল আজিম রনির নিয়ন্ত্রণ ভাঙতে এই চেষ্টা। ফের কাউন্সিলর নূর মোস্তাফাটিনু নিজেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী দাবি করেন।
টিএইচ
