সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

চন্দনাইশে চলছে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা 

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চন্দনাইশে চলছে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা 

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন, ২টি পৌরসভা এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। থানা পুলিশের কার্যক্রম জোরালো না থাকায়, চন্দনাইশ সদর পৌরসভা এলাকা, ধোপাছড়ি, সাতবাড়িয়া, দোহাজারী পৌরসভা, বরকল, বরমা, বৈলতলী, কাঞ্চনাবাদ, হাশিমপুর, জোয়ারা ইউনিয়নে ইদানিং ইয়াবা, মদ, জুয়া, গাঁজা ব্যবসায়ীরা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। 

ফলে উঠতি যুবকরা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ায় ইভটিজিংসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর দোহাজারী পৌরসভাস্থ চাগাচর ১নং ওয়ার্ডে আবদুল মান্নানের ১৮ বছরের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন সকালে চাগাচর হতে দোহাজারী বাজারে রিক্সা যোগে বোরকায় জড়িয়ে ১২৫ ইয়াবা বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসার সময় হিন্দু পাড়ায় স্থানীয় যুবক বেলাল উদ্দীন হিরুসহ ৭/৮জন সঙ্গীয় লোকজন সন্দেহজনকভাবে তাকে তল্লাশি করে ইয়াবাসহ আটক করে দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসার পর সেখান থেকে চন্দনাইশ থানায় নিয়ে যাওয়ার পর ২২ সেপ্টেম্বর  চট্টগ্রাম  আদালতে প্রেরণ করা হয়।

বর্তমানে দোহাজারীর বার্মা/কলোনীতে ইয়াবা মাইকেল, হাজেম বাড়ির মদ ব্যবসায়ী মাছুম, সোহেল, মো. রফিক, বেলাল, কালু ও আলী মদ, গাঁজা ইয়াবাসহ আকতার হোসেনের নাম ভাঙিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান সড়ক দোহাজারী ব্রিজ সংলগ্ন পশ্চিম ও পূর্ব কলোনীগুলোতে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। 

তাছাড়া দেওয়ানহাট, বাগিচাহাট, হাশিমপুর, কাঞ্চনাবাদ, বরকল, বরমা , কিল্লাপাড়া, রায়জোয়ারা, ধোপাছড়ি এলাকাগুলোতে মদ, জুয়া, গাঁজা, ইয়াবা প্রকাশ্যে পরিণত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাগাচর ১নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা ইয়াবা সম্রাট আবদুল মান্নান তার পুত্র আবদুল্লাহ আল মামুনকে নিয়ে দুই বছর ধরে প্রকাশ্যে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ চন্দনাইশ থানা মামুনকে গ্রেপ্তার করার পর তার পিতা থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়।

এলাকাবাসী বেলাল হোসেন হিরু জানান, দীর্ঘ যাবত মান্নান ও তার ছেলে মামুন ইয়াবা ব্যবসা করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে।

রিক্সাচালক এনামুল হক জানান, চাগাচর হতে দোহাজারী রিক্সাযোগে ইয়াবা ব্যবসায়ী মামুনকে নিয়ে যাওয়ার সময় ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সংক্রান্ত ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বেলাল হোসেন মামুনকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করার কথা স্বীকার করেন। এলাকাবাসী দ্রুত ইয়াবা সম্র্রাট আবদুল মান্নানকে গ্রেপ্তারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

টিএইচ