শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

চাঁদপুর বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা, ২৪ ঘণ্টায় ৬ শিশুর মৃত্যু

চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুর বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা, ২৪ ঘণ্টায় ৬ শিশুর মৃত্যু

দিনে গরম রাতে ঠান্ডা এমন আবহাওয়া পরিবর্তনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীদের সংখ্যা। 

গত এক সপ্তাহে সাড়ে ৩শ শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। চলতি মাসে প্রায় দেড় হাজার শিশু রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালের ৪২ সিটের বিপরিতে এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন ১১৯ রোগী। বিছানা সংকটে হিমশিম খাচ্ছে রোগী ও রোগীর লোকজনসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

এসব রোগীদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাঁশি, ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে। চলতি মাসে ৬ শিশু রোগী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আরো ১১ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। 

সরেজমিন রোববার (২৬ নভেম্বর) চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালের শিশু বিভাগে প্রচুর রোগী ভর্তি রয়েছে। বিছানা সংকটে হাসপাতালের করিডোর এবং বারান্দার মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন রোগীরা। 

খবর নিয়ে জানাযায়, গত ২৫ অক্টোবর থেকে ২৫ নভেম্বর  পর্যন্ত এক মাসে ১৩২০ শিশু রোগী ভর্তি হয়েছেন। জানাযায়, শিশু রোগীদের মধ্যে ৬ মাস থেকে এক দেড় বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা বেশি এবং তারা জ্বর, ঠান্ডা, নিউমোনিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত বেশি বলে জানিয়েছেন তারা।

খবর নিয়ে জানা যায় চাঁদপুর জেলায় আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে গত কয়েক দিনের গরম এবং শৈত্য প্রবাহের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এক মাসে হাসপাতালে সাড়ে ১৩শর ও বেশি শিশু রোগী ভর্তি হয়েছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে রোগীদের চাপে হাসপাতালের কোথাও ঠাঁই নেই। 

শিশু ওয়ার্ডের সবকটি বিছানা পরিপূর্ণ হয়ে মেঝেতে ও রোগীদের জন্য বিছানা পাতা হয়েছে। এছাড়াও অনেক শিশু রোগীকে অভিভাবকরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। একই ভাবে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বয়স্ক রোগীরাও।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আসিবুল আহসান চৌধুরীর বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। একই ভাবে অসুস্থ হচ্ছেন বয়োবৃদ্ধরাও। 

তিনি জানান, দেখা গেছে গত কয়েকদিনে গরম আবহাওয়া থেকে হঠাৎ রাতে ঠান্ডা এবং দিনে গরম পড়তে শুরু করেছে। বেশ কিছুদিন ধরে দিনে হালকা গরম, রাতে ঠান্ডা পড়ছে। যার কারণে বৃদ্ধ এবং শিশুরা হঠাৎ, জ্বর সর্দি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তাই গত এক দেড় মাস ধরে হাসপাতালে শিশু রোগীদের প্রচুর চাপ দেখা দিয়েছে।

সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান বলেন, আবাহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। শীত আসলেই প্রতিবছর এমনটাই হয়, আমরা আমাদের সাধ্যমত চিকিৎসা দিচ্ছি, বর্তমানে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসাসামগ্রীর কোনো সংকট নাই।

টিএইচ