চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি সহকারী শিক্ষক শাকিল আরাফাতের (৩৫) বহিষ্কার ও শাস্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আবার বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে এবং শিক্ষকের অপকর্ম ফাঁস করতে থাকে।
এদিকে, এই ঘটনা তদন্তে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তারকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ঠ তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দিলআরা চৌধুরী বলেন, আমি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেছি। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহাব্বুর রহমান বলেন, ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ইতোমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরত্ব দিয়ে দেখছি। এর সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। গত সোমবার চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শেখপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার শাকিল আরাফাত ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ফরাশপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি সহকারী শিক্ষক শাকিল আরাফাতের কাছে তার ভাড়া বাসায় প্রাইভেট পড়তো একই স্কুলের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রী।
সকালে প্রাইভেট পড়ে আসার সময় অভিযুক্ত শিক্ষক ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীদের কিছু খাতা দেখে দেয়ার জন্য সকালে আসতে বলেন। ওই ছাত্রী শিক্ষকের কথা মত সকালে তার বাসায় যায়। সকালে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ছাত্রীকে তার বেডরুমে নিয়ে শ্লীলতহানির চেষ্টা করেন।
এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রতিরোধ সৃষ্টি ঘর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে আসে। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিল আরাফাতকে গ্রেপ্তার করেন।
টিএইচ