চুয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে কোমর অপসারণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। সোমবার (৫ জুন) সদর উপজেলার হাটকালুগঞ্জের গঞ্জের ঘাট নামক স্থান থেকে মাথাভাঙ্গা নদীতে কোমর অপসারণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।
হুক দিয়ে নিজে নদীর আবর্জনা ও কোমর সরিয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সঙ্গে থাকা অতিথিরা। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, সদর উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা মৎস্য দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে নদীতে থাকা কোমর অপসারণ করা হয়।
কর্মসূচির উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, সোমবার (৫ জুন) পরিবেশ দিবসে অন্য কর্মসূচির সাথে আমরা মাথাভাঙ্গা নদী থেকে কোমর অপসারণ কর্মসূচিও হাতে নিয়েছি।
আপনারা সকলেই জানেন যে আমাদের পরিবেশকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব আমাদের। বলতে গেলে, প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের হাতেই ধ্বংস হচ্ছে। আমাদের সুস্থভাবে বসবাস করতে হলে প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মাথাভাঙ্গা নদী।
নদীটি চুয়াডাঙ্গা জেলার সব উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে। এই নদীর সাথে জেলার মানুষের জীবন এবং জীবিকার নিবির সম্পর্ক আছে। দুঃখজনক হলেও এই নদীটি বিভিন্ন দূষণ এবং দখলে আক্রান্ত। আমরা নদীটিকে দখল-দূষণমুক্ত করতে চাচ্ছি। আমরা কোমর অপসারণ করছি। মাথাভাঙ্গা নদীর দখল দূষণ রোধে আমরা সম্মিলতভাবে কাজ করবো।
এ সময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূঁইয়া, জেলা মৎস্য অফিসার দীপক কুমার পাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহা. রোকনুজ্জামান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সদর উপজেলা প্রশাসন জানায়, টানা কয়েক দিনব্যাপী মাথাভাঙ্গা নদীতে এ অভিযান পরিচালিত হবে। নদীতে থাকা সব কোমর অপসারণ করা হবে। প্রয়োজনে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে এই কোমর অপসারণ অভিযানে।
টিএইচ