চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ বেড়েছে হত্যাকাণ্ড। গত দেড় মাসে ৮টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে জেলায়। পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তড়িৎ পদক্ষেপে হত্যার রহস্য উন্মোচন ও আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা ভালাইপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি।
২০ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা শহরতলি দৌলতদিয়ার দক্ষিণপাড়ায় বাড়িতে চুরি করতে এসে অঞ্জলি প্রামাণিক নামের এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে।
২১ অক্টোবর আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জে শিলা খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ রেললাইনের ওপর তার স্বামী ফেলে রাখে। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার স্বামী রাসেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গত ২৩ অক্টোবর সুলতান ও আরিফুল ইসলাম আরিফের দু’গ্রুপের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নিলে সুলতান হোসেন গুরুতর জখম হয়। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলতানের মৃত্যু হয়।
২৬ অক্টোবর পুলিশ জীবননগর উপজেলার ঘাড়কাটি বিল থেকে নিখোঁজ কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক সুজন আলীর (৩০) কঙ্কাল উদ্ধার করে। ৬ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন শিক্ষক সুজন আলী। এ হত্যারও রহস্য উদঘটান করে ৩ ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩০ অক্টোবর দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত বিএনপি নেতা সুলতান হোসেন (৪৫) মারা যান।
১২ নভেম্বর আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামে পরকীয়ার জেরে অন্তসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে স্বামী রবিউলের বিরুদ্ধে। পরিবারের সবার সামনেই রবিউল তার অন্তসত্ত্বা স্ত্রী পলি খাতুনকে মারধর করেন। পরে তার মৃত্যু হয়।
১৩ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় তুষার আহমেদ সবুজ নামের এক মোটরসাইকেল ব্যবসায়ীকে মোটরসাইকেলসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ চাঞ্চল্যকর তুষার আহমেদ সবুজ হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।
সর্বশেষ গত ১৪ নভেম্বর সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি-বোয়ালমারী গ্রামের চরের মাঠ থেকে স্বামী পরিত্যক্তা টিকটকার খালেদা আক্তার মুন্নীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকা্লের মূল আসামি মানিক আলী মুন্সি ও তার সহযোগী পারভেজ মহাসিন স্বপনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম মাওলা বিপিএম সেবা বলেন, আমরা চেষ্টা করছি জেলার আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে। নানা পরিস্থিতির মাঝেও পুলিশ বাহিনী তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে চলেছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রত্যেক হত্যাকা্লের রহস্য উদঘাটন করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হচ্ছি।
টিএইচ