শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

চৌহালীতে লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি চরমে  

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি 

চৌহালীতে লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি চরমে  

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে দাবদাহের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে শিশু ও বয়স্করা চরম ভোগান্তিতে। দিনে সূর্যের তেজ আর রাতে ভাপসা গরমে অসহনীয় অবস্থায় সময় পার করছে মানুষ। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে মানুষ বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।

এদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রচণ্ড দাবদাহ আর দিনের বেশি সময় বিদ্যুৎ না থাকায় বেচা-বিক্রি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় উপজেলাজুড়ে বারবার লোডশেডিং চলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নাগরপুর ও চৌহালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস।

জানা গেছে, দেশের দুর্গম ঘোষিত সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা। টাঙ্গাইলের নাগরপুর জোনাল অফিসের আওতাধীন চৌহালীতে প্রায় ১৮ হাজার বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে। এছাড়া ছোট বড় চার থেকে পাঁচটা কারখানাও রয়েছে। গত সপ্তাহ ধরে চলছে চৌহালীতে ঘন ঘন লোডশেডিং। 

 চৌহালী উপজেলা প্রাণিসমপ্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ ডা. জান্নাতি   জানান, উপজেলায় গত কয়েক দিন সর্বোচ্চ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করেছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুতের নাগরপুর জোনাল অফিস রয়েছে যেখান থেকে বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়। 

লোডশেডিং হলে বাসার মধ্যে যেন দম বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা। শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বেশি। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহ ধরে গড়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। গত রোববার রাতে এবং সোমবার  দিনে কমপক্ষে ৮ বার লোডশেডিং হয়েছে বলে স্থানীয় পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানায়। 

এদিকে চৌহালীতে নবাগত ইউএনও মাহবুব হাসান জানান, প্রতিদিন ৬/৭ বার লোডশেডিং হচ্ছে। প্রতিবার দেড় দুই ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকছে না। এভাবে একটা উপজেলার কার্যক্রম চলতে পারে না। বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে দেখবো।

এ ব্যাপারে পল্লীবিদ্যুৎ নাগরপুর অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মেজবাউল হক জানান, তার অফিসের আওতায় ৯৬ হাজার গ্রাহকের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৪৫ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে ৮ থেকে ১০ মেগাওয়াট। ফলে সামপ্রতিক সময়ে লোডশেডিং কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

পল্লীবিদ্যুৎ নাগরপুর অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. মেজবাউল হক জানান, প্রচণ্ড দাবদাহে সারাদেশে লোড বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন সর্বোচ্চ লোড চলছে। তার অফিসের আওতাধীন বেশকিছু মুরগীর খামার রয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা ৩৫ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ৮ থেকে ১০ মেগাওয়াট। 

টিএইচ