শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

জলঢাকায় সরকারি স্কুলের পাশে অনুমোদনহীন বিড়ি ফ্যাক্টরি 

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি 

জলঢাকায় সরকারি স্কুলের পাশে অনুমোদনহীন বিড়ি ফ্যাক্টরি 

নীলফামারীর জলঢাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন এক বিড়ি ফ্যাক্টরি। নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করে প্রাভাব খাটিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে এ বিড়ি ফ্যাক্টরির উৎপাদন কার্যক্রম। 

এতে বিড়ি ফ্যাক্টরির পাশে থাকা চেংমারী মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক কোমলমতী শিক্ষার্থী শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছেন।
 
সরেজমিনে উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের বড়ঘাট বাজার সংলগ্ন চেংমারী মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা জানান, তামাকের ধোয়ায় শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণে আমরা স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ঠিকমত ক্লাস করতে পারি না, এমনকি স্কুলের মাঠটিতেও খেলা করতে পারি না। 

এ বিষয়ে জানতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাজেদা আখতার জাহান বলেন, তামাকের ধোয়ায় স্কুলে ক্লাস করতে শিক্ষার্থীসহ আমাদের খুবই কষ্ট হয়। এ বিষয়ে গতবছর আমি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ এবং জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালককে একাধিকবার অবগত করার পরও কোন প্রতিকার পাইনি। 

জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জলঢাকা উপজেলায় কোন বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের নিকট ছাড়পত্র নিতে কোন আবেদন করেন নি কিংবা কোন বিড়ি ফ্যাক্টরিকে ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন যাবত প্রধান সড়ক এবং একটি সরকারি স্কুলের পাশে কিভাবে বিড়ি উৎপাদনের কার্যক্রম চালাচ্ছে এমন প্রশ্ন এখন জনমনে। 

বিড়ির মালিক মাজেদুল ইসলাম বলেন, আমি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছি, তবে এখনও ছাড়পত্র হাতে পাইনি, তামাকের ধোয়ার কাজ কম করি। 

এ বিষয়ে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মন বলেন, ফ্যাক্টরি বন্ধ করার জন্য ইতোমধ্যে ওই বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিককে দুটি নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। ছাড়পত্র ছাড়া বিড়ি উৎপাদনের কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে তিনি বলেন, সরেজমিনে গিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. আবু রেজওয়ানুল কবীর বলেন, সিগারেট খেলে যেরকম ক্ষতি হয়, ঠিক তেমনি তামাকের ধোয়ার কারণে ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে। বিশেষ করে অ্যাজমা বা হাপানী রোগীদের জন্য এ ধোয়া মারাত্মক ক্ষতিকর। 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা শরিফা আকতার বলেন, যেহুতু এটি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সেহেতু সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি লিখিতভাবে অবগত করা হবে। 

টিএইচ