ঝালকাঠির রাজাপুরে বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজাপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান মনিরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঝালকাঠির আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। ঝালকাঠি কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক পুলক চন্দ্র বিষয়টি জানিয়েছেন।
রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. তালুকদার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাতে এ মামলা করেন। এ মামলায় ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, মিলন মাহমুদ বাচ্চু, পদ্মা কোম্পানির পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার খান লিটন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বাপ্পী, ছাত্রলীগ সভাপতি বাবু, কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজিসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা দেড়শতাধিক আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গতবছরের ৩০ নভেম্বর পুর্ব নির্ধারিত কর্মীসভায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শাহজাহান ওমরের নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপি অফিসে হামলা চালানো হয়। এসময় আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ালে নেতাকর্মীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে। আসামিদের হামলা ও ভাঙচুরে বিএনপি অফিসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।
মামলার বাদী আবুল কালাম আজাদ জানান, আমাদের অফিসের ১৫ লাখ টাকা মূল্যের মালামালের ক্ষতি হয়েছে। এর দৃষ্টান্তমূলক উপযুক্ত বিচার চাই।
ঝালকাঠি কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক পুলক চন্দ্র রায় জানান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। জামিন আবেদন ও রিমান্ড শুনানি না থাকায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এ মামলায় শাহজাহান ওমরসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ আরও অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
টিএইচ