শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

টাঙ্গাইলে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের থেকে বেতন নেয়ার অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের থেকে বেতন নেয়ার অভিযোগ

উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে মাসিক বেতন নেয়ার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইল শহরের দিঘুলীয়া শহীদ মিজানুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। 

অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন খানের নির্দেশে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় করছে। বিষয়টির প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ সনদপত্র দিয়ে শিক্ষার্থীকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে ৪৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বেতন ৩০০ টাকা, অষ্টম শ্রেণির বেতন ৪০০ টাকা, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বেতন ৫০০ টাকা। বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ২৫ জন, ৭ম শ্রেণিতে ১৬ জন, অষ্টম শ্রেণিতে ৩৯ জন ও নবম শ্রেণির ১৪ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাচ্ছে। ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাচ্ছে এক হাজার ৮০০ টাকা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের দুর্ব্যবহারের কারনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। কখনও টাকার বিনিময়ে আবার কখনও মুখ চেনা প্রভাবশালীদের সন্তানদের উপবৃত্তির কার্ড করে দেন শিক্ষকরা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনসহ শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানান, উপবৃত্তি কার্ড দেয়ার নামে শিক্ষকরা ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী কারো কাছ থেকে ছয় মাসের আবার কারো কাছ থেকে ১২ মাসের বেতন নিচ্ছেন শিক্ষকরা। বিষয়টি বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষককে অবগত করা হলে তারা দুর্ব্যবহার করেন। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সনদপত্র দিয়ে বের করে দেয়ার হুমকি দেন।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি শামীম আল মামুন জুয়েল জানান, উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বেতন নেয়ার সুযোগ নেই। কোন বিদ্যালয় ও কোন শিক্ষক বেতন নিলে বিষয়টি অনৈতিক হয়েছে।

অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, উপবৃত্তির কার্ড দেয়ার নামে কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হয়নি। এছাড়াও উপবৃত্তি পাওয়া কোন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোন বেতন নেয়া হয়নি।

সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুজিবুল আহসান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। দিঘুলীয়া শহীদ মিজানুর উচ্চ বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন নেয়া হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টিএইচ