টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘাটাইলের দেউলাবাড়ি ও মধুপুরের রক্তিপাড়ার মধ্যবর্তী স্থানে মাদারগঞ্জ স্পেশাল বাসে রাতে ডাকাতির ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছেন। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুইজনকে আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া জখম হওয়া কয়েকজনকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাদারগঞ্জ স্পেশাল বাসে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
বাসের যাত্রী রবিউল ইসলাম জানান, মহাখালী থেকে রাত ১০টার দিকে মাদারগঞ্জ স্পেশাল এক্সপ্রেস নামের বাসটি প্রায় ৩০/৪০ জন যাত্রী নিয়ে মাদারগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে আশুলিয়া বাইপাইল টিকিট কাউন্টারে এসে বাসটি বিরতি নেয়। এ সময় ওই কাউন্টার থেকে ৮/১০ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল টিকিট কেটে গাড়িতে উঠে।
বাসটি মধুপুরের দেউলাবাড়ি এসে পৌঁছালে ডাকাতদল মুখে মাস্ক পড়ে বাসের ড্রাইভার ও হেলপারদের জিম্মি করে যাত্রীদের এলোপাতাড়িভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
জামালপুর সদরের যাত্রী তারা মিয়া(৪০) টাকা বের করতে অস্বীকৃতি জানালে তার পেটে খুর দিয়ে আঘাত করে। ধারালো খুরের আঘাতে তার ভুঁড়ি বেরিয়ে পড়ে। এছাড়া সরিষাবাড়ি উপজেলার সাতপোয়া গ্রামের রবিউলের স্ত্রী কাকলি বেগমের (৩৫) হাতে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।
অনেকেই ভয়ে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন ডাকাতদের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে ডাকাতদল মধুপুর রক্তিপাড়া তেলের পাম্পের উত্তর পাশে নরকোণা নামক স্থানে নেমে যায়। আহতদের চিকিৎসার জন্য বাসের ড্রাইভার দ্রুত বাসটি মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
যাত্রীদের মধ্যে তারা মিয়া ও কাকলী বেগমের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়। প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ডাকাতদল নিয়ে গেছে বলে ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান। বাসটি মধুপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
টিএইচ