গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বর্ণি ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাদশার বিরুদ্ধে দুবাই প্রবাসী চাচাত ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে প্রবাসীর স্ত্রী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নেয়নি। বাধ্য হয়ে গৃহবধূ গোপালগঞ্জ আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
প্রবাসীর স্ত্রী বলেন, টুঙ্গীপাড়ায় বর্ণি ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাদশা সম্পর্কে আমার ভাসুর। স্বামী বিদেশ থাকায় তিনি মাঝে মধ্যে আমাদের বর্নি গ্রামের বাড়িতে এসে খোঁজ খবর নিতেন।
গত ২৭ মে আমার ভাসুর (চেয়ারম্যান) বাদশা পারিবারিক কাজে আমাকে ফোনে গোপালগঞ্জ শহরের (মোহাম্মদপাড়া) বাসায় আসতে বলেন। আমি আমার শাশুড়িকে জানিয়ে তার বাসায় গিয়ে দেখি ফাকা বাসায় তিনি একা। চেয়ারম্যান একা পেয়ে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে।
ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে গত ৯জুন বাসায় ডেকে পুনরায় আমাকে ধর্ষণ করে এবং বলে যখন ডাকবো তখন আসতে হবে, তা না হলে ধষর্েণর ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দিবো। ভয়ে আমি কিছুদিন আত্মগোপনে থাকলেও চেয়ারম্যান আবার ধর্ষণ ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
চেয়ারম্যানের নির্যাতন থেকে বাঁচতে গত ১২ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করায়, বাধ্য হয়ে আমি ১৫ জুলাই গোপালগঞ্জ আদালতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্বে ধর্ষণ মামলা করি। আদালত গোপালগঞ্জ পিবিআইকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে মামলা করায় চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে হুমকি দিচ্ছে।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাদশা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকায় আমার ভাবমুর্তী ক্ষুন্ন করতে প্রতিপক্ষ ওই মহিলাকে দিয়ে আমার বিরুদ্বে মিথ্যা মামলা করিয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, ভূক্তভোগী মহিলার এজাহার সঠিক না থাকায় মামলা নিতে পারিনি। ওনাকে এজাহারটি সংশোধন করে আনতে বলি, উনি আর আসেননি। পরে জানতে পারলাম গোপালগঞ্জ আদালতে মামলা করেছেন।
গোপালগঞ্জ পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) জুয়েল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। কিছু কার্যক্রম বাকি আছে, বাকি কাজগুলো শেষ হলেই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
টিএইচ